অভিনব কায়দায় ভারতের সামরিক তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জানা গিয়েছে, ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে ভারতীয় সামরিক আধিকারিকদের ফোন হ্যাক করার জন্য ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল আইএসআই। সেনা আধিকারিকের ফোন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কম্পিউটারে এই সব ভাইরাস ঢোকানোর পরিকল্পনা করছিল আইএসআই। এই ঘটনায় এবার তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনআইএ। একটি ছদ্মনামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্ত শুরু করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, শান্তি প্যাটেলের নামে (fb.com/shaanti.patel.89737) অ্যাকাউন্টটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ২০২০ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের এক তদন্তের প্রেক্ষিতে প্রথমবার উঠে আসে যে এই ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আইএসআই ভারতের সামরিক কর্তাদের ডিভাইস করার চেষ্টা করছে। এরপরই সেনা ২০২০ সালের ৯ জুলাই সব কর্মীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট সহ মোট ৮৯টি অ্যাপ ডিলিট করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
এনআইএ এখন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের সেই মামলার ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের খোঁজ শুরু করেছে। এই মামলার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার উপর এভাবে তথ্য চুরির প্রভাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট (ওএসএ), বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ), তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্রের অধীনে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তকারী সংস্থা।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্তা বলেন, ‘আইএসআই হ্যাকাররা ফেসবুক ‘শান্তি প্যাটেলে’র নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিল এবং তারপরে ব্যক্তিগত মেসেঞ্জার চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সাথে কথা চালিয়ে যায়। এরপর লাস্যময়ী মেয়েদের ছবি দেখিয়ে সেই ছবির মাধ্যমে ম্যালওয়্যাল ঢুকিয়ে দেওয়া হত সংশ্লিষ্ট সামরিক আধিকারিকের মোবাইল বা ডিভাইসে।’