সবার মুখে এখন একটাই নাম। তিনি ঈশান কিশান (Ishan Kishan)। বুক চিতিয়ে লড়াই করে কুড়িয়ে নিয়েছেন সকলের প্রশংসা। বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি থাকতে এসেছেন। চলে যেতে নয়। ঈশানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। তরুণ ব্য়াটারে মোহিত হয়েছেন পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রমও (Wasim Akram)।
‘মাদার অফ অল ব্যাটল’ দিয়েই এশিয়া কাপের অভিযান শুরু করছে টিম ইন্ডিয়া। গত রবিবার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বৃষ্টিস্নাত ক্যান্ডিতে প্রথমে ব্যাট করে, ভারত করে ২৬৬ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে একটি বলও করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যায়। এই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন পাক পেসার ত্রয়ী। শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন চার উইকেট। তিন উইকেট করে নিয়েছেন নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ।
ম্য়াচে পাক পেসারদের দাপটে ভারত ব্য়াট করতে নেমে হামাগুড়ি দিয়েছিল মাঠে। ৬৬ রানে চলে গিয়েছিল দলের চার উইকেট। এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া ও ঈশান কিশান দলের মুখরক্ষা করেন। তাঁরা ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৯০ বলে ৮৭ করে আউট হয়েছেন হার্দিক। অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৭টি চার ও ১টি ছয় মেরেছেন হার্দিক। ব্য়াট করেছেন ৯৬.৬৬-এর স্ট্রাইক রেটে। ৮১ বলে ৮২ রান (৯টি চার ও ২টি ছয়) করে আউট হয়েছেন ঈশান। দুই ক্রিকেটারই অল্পের জন্য় সেঞ্চুরি মাঠে রেখে এসেছেন।
আক্রম বলেন, ‘দেখুন, ঈশান যে ইনিংস খেলেছে, সেটা ওকে ব্য়াটিং অর্ডারের যে কোনও জায়গায় ব্য়াট করার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে চার নম্বর ব্য়াটিং পজিশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ও দারুণ ভাবে পেস আক্রমণ সামলেছে। বিশ্বের অন্য়তম সেরা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধেই ঈশান দুর্দান্ত সব শট নিয়েছে।’
আক্রমের সুরে গলা মিলিয়ে শাস্ত্রী বলেন যে, ‘হ্য়ারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বিরুদ্ধে দারুণ বল করেছে। ঈশান একটা টিমের মতো টিমের বিরুদ্ধে খেলল। ও ফিরে গিয়ে ভাববে যে, সেরা তিন বোলারের বিরুদ্ধে আমি স্বাচ্ছন্দ্যে খেললাম। আমার আত্মবিশ্বাসের দিকটায় যেটা অসাধারণ কাজ করবে। বিশ্বকাপের জন্য ঈশান নিজেকে ঠেলে দিল। ভারতের দিক থেকে বলব যে, আরও একজন বাঁ-হাতিকে দরকার হতে পারে। পাকিস্তানের মতো কিছু দলের বিরুদ্ধে যারা ডান হাতিদের কাজটা সহজ করে দেবে। যদিও দলে কেএল রাহুলের মতো প্লেয়ার রয়েছে। ভারতকে কিন্তু বিকল্প খোলা রাখতেই হবে।’
ঈশান কিন্তু ভারতের জার্সিতে টানা চারটি ওয়ানডে ম্য়াচে হাফ-সেঞ্চুরি করল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাঁর তিনটি অর্ধ-শতরান ছিল। ঈশান তুলনামূলক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলে এসে, পাকিস্তানের মতো হেভিয়ওয়েট দলের বিরুদ্ধে আগুনে ইনিংস খেললেন। যে ইনিংস তাঁর আগামীর রসদ হবে। চারে কে ব্য়াট করবেন? এই প্রশ্নেরও হয়তো উত্তর হতে পারেন ঈশান।