OTP ভেরিকেশনের সময় চুরি হচ্ছে আপনার ফোনের তথ্য? সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

OTP ভেরিকেশনের সময় চুরি হচ্ছে আপনার ফোনের তথ্য? সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

OTP Scam: Mitto Ag বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল OTP Scam। অভিযোগ, OTP পাঠানোর পর ওই সংসংস্থা গ্রাহকদের ফোনে নজরদারি চালায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ওই সংস্থার তরফে।

প্রায় সবার ফোনেই এখন ইন্টারনেট। আর তাই Google, Whatsapp, Twitter এবং অনান্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করা খুবই স্বাভাবিক। যাঁরা বিভিন্ন কাজে ওই ওয়েবসাইট এবং অ্যাপগুলি ব্যবহার করেন তাঁদের ফোনে মাঝে মাঝেই আসতে থাকে OTP বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। কোনও বিশেষ ফিচার চালু করতে বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে এবং অনান্য কাজের জন্য প্রয়োজন সেই পাসওয়ার্ডের। এবার ওই OTP নিয়েই বাড়ল চিন্তা। কারণ যে সংস্থা ওই OTP ম্যানেজমেন্ট করে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠল। লন্ডনের একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Google, Whatsapp এবং Twitterএর OTP ম্যানেজ করে সুইৎজারল্যান্ডের Mitto AG নামে একটি সংস্থা। এছাড়াও Linkdin এবং Telegram-এরও OTP ম্যানেজ করে ওই সংস্থা। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে লন্ডনের একটি ননপ্রফিট অর্গানাইজেশন The Bureau of Investigation Journalism। তাদের রিপোর্টে জানা গেছে, Mitto-র যে নেটওয়ার্ক রয়েছে তা নজরদারির কাজেও ব্যবহার করা হয়। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন নজরদারি সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে Mitto। যারা সরকারি বিভিন্ন এজেন্সির হয়ে কাজ করে।

ভারতে Starlink ইন্টারনেট কানেকশনের দাম জানা গেল, জেনে নিন আপনিও

Mitto AG-র সদর দফতর সুইৎজারল্যান্ডে। যাদের সঙ্গে প্রায় 100টি টেলিকম অপারেটর যুক্ত রয়েছে। গোটা বিশ্বে টেক জায়েন্টগুলির OTP ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব রয়েছে তাদের উপর। তাই বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে Mitto AG।

TBIJ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, SS7 প্রটোকল ব্যবহার করে Mitto AG। এই প্রটোকলের মাধ্যমে কোনও OTP ব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব। একই সঙ্গে OTP গ্রাহকদের মেসেজ বক্সের মধ্যে ঢুকে মেসেজ রিড করতে পারে সংস্থাটি । SS7 প্রোটোকলটি বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাও ব্যবহার করে। বিশ্বজুড়ে যে সব টেলিকম সংস্থা রয়েছে তারা যখন কোনও কল একটি নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কের মধ্যে কানেক্ট করে তখন এই প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।

গ্রুপ তৈরির দরকার নেই, 250 জনকে Whatsapp করুন মুহূর্তেই

যদিও ওই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছে Mitto। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন নজরদারি সংস্থা থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে। এবিষয়ে সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আমাদের সংস্থার তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার জন্য আমরা খুব অবাক হয়েছি। Mitto-র অতীতে এমন কোনও ডিভিশন ছিল না, এখনও নেই বা আগামীদিনেও থাকবে না যার মাধ্যমে টেলিকম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নজরদারির কাজ করে। বিশ্বব্যাপী যে কাস্টমার আমাদের রয়েছে তাদের সঠিক পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”

Google, Twitter, WhatsApp, LinkedIn এবং Telegram-এর মত সংস্থাগুলি SMS বেসড ভেরিফিকেশন চালু রয়েছে। যার জন্য প্রয়োজন OTP। সেই OTP প্রদানের কাজ করে Mitto।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.