সোনম রঘুবংশীকে সোমবার গ্রেফতারির পরে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না, সেই পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তার রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘অমীমাংসিত’ (ইনকনক্লুসিভ)। তার পরেই তৈরি হয়েছে ধন্দ। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা? এক সপ্তাহ পরে চিকিৎসকেরা সোনমের আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের এক ধাবা থেকে সোনমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তার পরে তিন জন মহিলা চিকিৎসকের একটি দল তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তাঁর মানসিক অবস্থাও খতিয়ে দেখেন। চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় সোনম খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্তও মনে হয়েছে চিকিৎসকদের। একটি সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে খুব দুর্বল ছিলেন সোনম। তাঁকে শক্তিবর্ধক পানীয়, ফলের রস দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে তাঁর শরীরে কোনও আঘাত ছিল না।
চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তানধারণের একেবারের গোড়ার দিকে পরীক্ষা করা হলে, তার ফল ইতিবাচক আসে না। পরীক্ষায় সন্তানধারণের বিষয়টি ধরা পড়ে না। সে ক্ষেত্রে আল্ট্রাসাউন্ডের মতো পরীক্ষা করানো হয়। তবে সোনমের ক্ষেত্রে এই রিপোর্ট তদন্তে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। তাঁরা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই মামলা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন বলেও খবর।
মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে গাজ়িপুর থেকে সোনমকে নিয়ে মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা হয় সে রাজ্যের পুলিশ। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে বলে খবর। সোনমের সঙ্গেই তাঁর ‘প্রেমিক’ রাজসিংহ কুশওয়াহা, সঙ্গী আকাশ রাজপুত এবং বিশাল সিংহ চৌহানকে হেফাজতে নিয়েছে মেঘালয় পুলিশ। রাজা রঘুবংশীর খুনে সোনমই মূল অভিযুক্ত। মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন দু’জন। সেখানে চেরাপুঞ্জি থেকে গত ২৩ মে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। ২ জুন একটি খাদ থেকে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় ১৭ দিন নিখোঁজ থাকার পরে রবিবার গভীর রাতে গাজ়িপুরের এক ধাবা থেকে সোনমকে হেফাজতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এখন তিনি মেঘালয় পুলিশের হেফাজতে। আদালতের নির্দেশে সাত দিন তাদের হেফাজতে থাকবেন সোনম।