অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে শ্রেয়স আয়ারকে। ভারত ‘এ’ দলে নেওয়া হয়নি রোহিত শর্মাকে। তবে কি এ বার এক দিনের দলের অধিনায়কত্বও গেল রোহিতের? পরবর্তী অধিনায়ক হিসাবে কি শ্রেয়সের নাম স্থির করে ফেলেছেন অজিত আগরকরেরা? নিজেই সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আগরকর।
নির্বাচক প্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক হিসাবে শ্রেয়সের নাম ঘোষণা করার অর্থ এই নয় যে তাঁকেই ভারতের পরবর্তী এক দিনের অধিনায়ক করা হবে। আপাতত এক দিনের দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনও আলোচনা তাঁদের হয়নি। আগরকর বলেন, “আমরা এক দিনের ফরম্যাট নিয়ে এখনও আলোচনা করিনি। শ্রেয়স সিনিয়র প্লেয়ার। লোচনা তাঁদের হয়নি। তানের আইপিএলে ও অধিনায়কত্ব করেছে। আগেও ভারত ‘এ’ দলের নেতৃত্ব ও সামলেছে। তার মানে এই নয় যে ওকে এক দিনেক দলের অধিনায়ক করে দেব। অনেকের মধ্যেই অধিনায়ক হওয়ার গুণ থাকে। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে সেই গুণ দেখানোর সুযোগ ও পাবে।”
আগরকরের কথা থেকে স্পষ্ট, শ্রেয়সের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ তিনি দেখেছেন। তার মানে এই নয় যে এখনই অধিনায়ক বদল করা হবে। তবে ভারত ‘এ’ দলে রোহিতকে নেওয়া হয়নি। তিনি কি অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় খেলবেন? যদি রোহিতকে না নেওয়া হয় তা হলে তো নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করতে হবে ভারতক। শ্রেয়স আপাতত ছ’মাস টেস্ট খেলবেন না। টি-টোয়েন্টি দলেও সুযোগ পাননি তিনি। সে ক্ষেত্রে ভারতের এক দিনের দলে নিজের জায়গা আরও জমাট করতে চাইবেন তিনি। এখন দেখার, শ্রেয়সের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোয়।
আগামী ছ’মাস শ্রেয়সকে লাল বলের কোনও ধরনের ক্রিকেটে দেখা যাবে না। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। এমনকি রঞ্জি ট্রফির প্রথম পর্বেও না দেখা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, “লাল বলের ক্রিকেট থেকে অন্তত ছ’মাসের বিশ্রাম চেয়ে শ্রেয়স আয়ার বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। ইংল্যান্ডে পিঠের অস্ত্রোপচার করানোর পর শ্রেয়সের রিকভারি ভালই হয়েছে। তবে সম্প্রতি আবার লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে পিঠের ব্যথা ফিরে এসেছে তাঁর। শ্রেয়স চাইছেন মাঝের এই সময়ে শরীরের সহনশীলতা ও শক্তি বাড়াতে এবং ফিটনেসের উপরে জোর দিতে। তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ইরানি কাপের দলে নেওয়া হয়নি।” তবে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে শ্রেয়সকে ভারত এ-র নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় চার দিনের টেস্ট শুরুর আগে দল থেকে সরে দাঁড়ান শ্রেয়স। অথচ তিনিই ছিলেন ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক। দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সে দিনই লখনউ থেকে মুম্বই ফেরেন শ্রেয়স।