৫৯০ কোটি কিলোমিটার— সূর্য থেকে প্লুটোর দূরত্ব মেপে এই পরিসংখ্যানই পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ৭৫০ কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে সৌরজগতের এই বামন গ্রহ। এক সময় প্লুটোকে সূর্যের গ্রহদের দলেই রাখা হত। বলা হত, সূর্যের ন’টি গ্রহ রয়েছে। তবে পরে গবেষণা করে দেখা যায়, প্লুটো কোনও গ্রহ নয়। গ্রহের সব বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে নেই। প্লুটো আকারে এতটাই ছোট যে, তাকে বামন গ্রহের আখ্যা দেওয়া হয়।
এ হেন প্লুটোয় স্বাভাবিক ভাবেই সূর্যের অতি সামান্য আলো পৌঁছয়। পৃথিবী থেকে সূর্যকে যতটা উজ্জ্বল দেখায়, প্লুটোর সূর্য ততটা উজ্জ্বল নয়। বিজ্ঞানীরা জানান, প্লুটোর মাটি থেকে সূর্যকে ছোট্ট একটি তারার মতো দেখায়। পৃথিবীতে রাতের আকাশে যেমন তারা দেখা যায়, সূর্যও প্লুটোর আকাশে সেই আকারেই দৃশ্যমান।
পৃথিবীর সূর্য প্লুটোর ভরদুপুরে মধ্যগগনের সূর্যের চেয়েও এক হাজার গুণ বেশি উজ্জ্বল। তবে যদি পৃথিবীর পূর্ণিমার চাঁদের সঙ্গে প্লুটোর সূর্যের তুলনা টানা হয়, তবে কিন্তু চাঁদ হেরে যাবে। বিজ্ঞানীরা জানান, পৃথিবীতে পূর্ণিমার চাঁদকে যতটা উজ্জ্বল দেখায়, প্লুটোর সূর্য তার চেয়ে অন্তত ৩০০ গুণ বেশি জ্বলজ্বলে।
সূর্য থেকে প্লুটো পর্যন্ত আলো পৌঁছতে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। বরফে ঢাকা প্লুটোর পৃষ্ঠে সেই আলো অতি ক্ষীণ ঔজ্জ্বল্য সৃষ্টি করে। প্লুটোর আকাশ মূলত অন্ধকার। তবে তার মধ্যেও সূর্যই সবচেয়ে নজরকাড়া। কারণ, অন্য কোনও তারা প্লুটোর আকাশে তেমন জ্বলজ্বল করতে দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, প্লুটো থেকে সূর্যকে যতটা বড় দেখায়, পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সূর্য তার চেয়ে ৩৯ গুণ বড়। নাসা-র তরফে প্রায়ই সূর্য এবং প্লুটো সম্পর্কে এমন নানা অজানা তথ্য প্রকাশ করা হয়। ‘প্লুটো টাইম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ওই তথ্যগুলি পাওয়া যায়।