ইজ়রায়েলি সেনা হামলার পাল্টা জবাবে মঙ্গলবার থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করেছে ইরান। ইজ়রায়েলে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানি সেনার দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে ইজ়রায়েলে। এই হামলার পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফল ভুগতে হবে ইরানকে। অন্য দিকে, ইরানকে সতর্ক করেছে আমেরিকাও।
ইরান হামলার পরে মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, ‘‘ইরান হামলা করে ঠিক কাজ করেনি। এর ফল ভুগতে হবে তাদের।’’ ইজ়রায়েলি সেনা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইরান পর পর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যদিও সেই হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। ইরানি হামলায় এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষতির কথা জানায়নি ইজ়রায়েল। ইরান হামলার নিন্দা করে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হবে। আমেরিকা সেনা সাহায্য করবে ইজ়রায়েলকে। তবে থেমে নেই ইরানও। নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির পর বুধবার ইরানি সেনা জবাবে জানিয়েছে, ইজ়রায়েল যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয়, তবে পাল্টা হামলা চালানো হবে।
গাজ়ায় হামলার বর্ষপূর্তির ঠিক আগেই লেবাননে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। মঙ্গলবার ইজ়রায়েলি সেনার ট্যাঙ্ক বহর দক্ষিণ লেবাননে অনুপ্রবেশের পর প্রত্যাঘাত শুরু করে ইরান! মঙ্গলবার রাতে ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিবকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান সেনা। এই হামলার ঘটনার পরই দেশের নাগরিককে সতর্ক করেছে ইজ়রায়েল সরকার।
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া ভূখণ্ড থেকে স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাস হামলা চালিয়েছিল গাজ়ায়। তার পর একে একে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লা এবং ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠী তেল আভিবের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বার পশ্চিম এশিয়ায় কোনও রাষ্ট্রশক্তি সরাসরি ইজ়রায়েলকে নিশানা করল। এর ফলে ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের সূচনা হতে চলেছে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।