ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গুরুতর আহত হলেন ইরানের গোলরক্ষক আলিরাজা বেইরানভান্দ। একটি বল বাঁচাতে গিয়ে এক সতীর্থের সঙ্গে ধাক্কা খান তিনি। চোট লাগে মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ইংল্যান্ড। ইরানের ফুটবলাররা রক্ষণ আগলাতেই ব্যস্ত ছিলেন। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র আট মিনিট। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেনের একটি ক্রস গোল ছেড়ে বেরিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন বেইরানভান্দ। অন্য দিক থেকে এগিয়ে আসছিলেন ইরানের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় মজিদ হোসেইনি। তাঁর সঙ্গে সজোরে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে বেইরানভান্দের। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দু’জনেই। রেফারির নির্দেশে ছুটে আসেন চিকিৎসকরা।
বেইরানভান্দের নাক দিতে রক্তপাত শুরু হয়। রক্তে ভিজে যায় তাঁর জার্সি। তাঁকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন দলের চিকিৎসকরা। কিন্তু ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছিলেন না বেইরানভান্দ। পরে আর খেলতে পারেননি তিনি। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় প্রথম পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় ইরান। পরিবর্ত গোলরক্ষক হিসাবে মাঠে আসেন হোসেন হোসেইনি। যদিও মজিদের খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যা হয়নি।
এই ঘটনার জন্য ১৫ মিনিট খেলা বন্ধ রাখতে হয়। ইরান দলের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেইরানভান্দকে খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু তিনি নিজেই পারছিলেন না। মাঠে আবার শুয়ে পড়েন। মুখে কষ্টের ছাপ ছিল স্পষ্ট। গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও বেইরানভান্দকে মাঠ থেকে কেন বের করে না এনে কেন খেলা চালাতে বললেন ইরান দলের চিকিৎসক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করছেন সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বেশি সময় নিয়েছেন চিকিৎসক। বিশ্বকাপের পরের ম্যাচগুলিতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা বেশ কম বলেই মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে।