পিএফ অফিসের উদাসীনতায় চা বাগান মালিকরা শ্রকিকদের পাপ্য প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা জমা করছেন না বলে অভিযোগ আইএনটিটিইউসি’র। পাশাপাশি পিএফ অফিসে ঘুঘুর বাসা রয়েছে, সেটা ভাঙতে হবে, এমনই শ্লোগান উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি পাড়া থেকে তৃণমূল চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের সদস্যরা পদযাত্রা শুরু করেন। মিছিলে তৃণমূলের নেতা- নেত্রী সহ সাংসদরা ছিলেন। সেখান থেকে দিনবাজার হয়ে পিএফ অফিসে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক, সামিরুল ইসলাম ও আইএনটিটিইউসি জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তপন দে, আলিপুরদুয়ারের আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিনোদ মিঞ্জ সহ জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ সহ অন্যান্যরা। তৃণমূলের চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৮ তারিখ থেকে তিন দিন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগানে মিটিং করে তারপর পদযাত্রা নিয়ে জলপাইগুড়ির রিজিওনাল পিএফ অফিস ঘেরাওয়ে অংশ নেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্য সভার দুই সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রকাশ চিক বড়াইক, আদিবাসী অনগ্রসর উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক সহ দুই জেলার নেতা- নেত্রীরা। পিএফ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, “চা শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের সমস্যা তুলে ধরা হলো। আধার কার্ডের নামের সঙ্গে অনেক সময় শ্রমিকের নাম ও আঙুলের ছাপ মিলছে না এগুলো দেখতে হবে প্রভিডেন্ট ফাণ্ড দফতরকে। কিন্তু সেগুলো করা হচ্ছে না। এই সমস্যা আমি দিল্লিতেও তুলে ধরেছি। জলপাইগুড়ি প্রভিডেন্ট ফাণ্ড দফতর থেকে জানানো হয়েছে সমস্যা মেটানো হবে।”
জলপাইগুড়ি রিজিওনাল পিএফ কমিশনার পবন কুমার বনসাল বলেন, আমরা আমাদের কাজ করছি। যারা পিএফ জমা করছেন না তাদের বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করছি।ওয়ারেন্ট জারি করছি।”