প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীর অবদানকে সম্মান জানাতে এবং তার স্বীকৃতির দাবিতেই এই দিনটি মূলত পালন করা হয়।
কিন্তু এই দিনটিতে নারীর স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে উপেক্ষা করলে চলবে না। এমনই মত চিকিৎসকদের।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ৫ জনের একজন নারীরই মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এর পিছনে চিহ্নিত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি কারণকে। মূলত সামাজিক চাপ, লিঙ্গবৈষম্য এবং পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোয় অধিকার খর্ব হওয়ার ফলেই এই জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। এমনই বলছে পরিসংখ্যান।
পুরুষদের থেকে নারীদের মধ্যে অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যার পরিমাণ দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনই বলছেন ফোর্টিস হাসপাতালের মনোচিকিৎসক সঞ্জয় গর্গ। এছাড়াও মহিলাদের মধ্যে postpartum depression এবং premenstrual dysphoric disorder-এর মতো সমস্যা বাড়ছে, বলছেন তিনি।
বহু ক্ষেত্রেই মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের এই দিকগুলি অবহেলিত হতে থাকে। এণনই বলছেন চিকিৎসক।
কিন্তু কী করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? কয়েকটি রাস্তা বলে দিচ্ছেন মনোচিকিৎসক সঞ্জয় গর্গ।
- স্কুল থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যর বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
- সামাজিক যে সমস্ত ভুল ধারণা আছে, সেগুলিকে ভাঙার চেষ্টা করতে হবে সমাজের সব স্তরে।
- যাঁরা ঘর এবং বাইরের মতো দু’ধরনের কাজ সামলাতে বাধ্য হন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা করে ভাবতে হবে।
- মহিলাের মানসিক স্বাস্থ্য বহু ক্ষেত্রেই অবহেলিত হয়, তার কারণ লিঙ্গবৈষম্য। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে, যত দ্রুত সম্ভব বৈষম্য কমাতে হবে।