দীর্ঘ বিলম্বের পর বুধবার ফের একবার লাদাখ সীমান্তের বিবাদ মেটাতে আলোচনার টেবিলে বসেছিল ভারত ও চিন। তবে সেনা পর্যায়ের ১৪তম বৈঠকেও সীমান্ত বিবাদ নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র মিলল না। তবে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ করার বিষয়ে সম্মত হতে না পারলেও দুই দেশই একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। লাদাখে চলমান অস্থির পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে আগামী পর্যায়ের বৈঠক দ্রুতই হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় সেনা চেয়েছিল যাতে চিন গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে। তবে ভারতের তরফে পিএলএ-কে এই বিষয়ে রাজি করানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়া দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরে দেপসাং বালজ, ডেমচক সেক্টরে চার্ডিং নুল্লাহ জাংশনেও চিনকে সেনা প্রত্যাহার করানোর বিষয়ে রাজি করাতে পারেনি ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে পূর্বতন অবস্থানেই দাঁড়িয়ে থাকবে দুই দেশের সেনা।
কূটনৈতিক ভাষায় বলতে গেলে এই বৈঠকের আলোচনা গঠনমূলক হলেও কোনও ইতিবাচক ফলাফল মেলেনি। তবে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাবে দুই পক্ষই। তবে প্রকৃত পক্ষে সীমান্তে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের স্থিতাবস্থা ফেরার কোনও ইঙ্গিত পিএলএ-র তরফে মেলেনি। এদিকে প্যাংগং সো-এর উপর চিনা সেনার ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টিও বৈঠকে উত্থাপিত করেছিল ভারতীয় সেনা। তবে সেই বিষয়েও ভারত কোনও ইতিবাচক বার্তা শুনতে পায়নি চিনের থেকে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বেজিং ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের শান্তি আলোচনায় গৃহীত প্রস্তাবগুলিতে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে ১৯৫৯ সালের বাতিল হওয়া এলএসি মানচিত্রকে গ্রহণ করে। এরপরই ফের নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ও সংঘাতের আবহাওয়া সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মে মাস থেকে টানা ২০ মাস রণংদেহী মনোভাব নিয়ে একে অপরের দিকে চোখ রাঙাচ্ছে ভারত ও চিনা সেনা।