ভারতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে পরম মামব্রের (Paras Mhambrey) স্থলাভিষিক্ত হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিডস্টার মর্নি মর্কেল (Morne Morkel)। গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) আরও এক পছন্দের লোক এবার ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। জসপ্রীত বুমরাদের (Jasprit Bumrah) নতুন মাস্টারমশাই হলেন মর্কেল। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ (BCCI secretary Jay Shah) সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘হ্য়াঁ, মর্নি মর্কেলই ভারতের সিনিয়র দলের বোলিং কোচ হয়েছেন।’ বোলিং কোচ হিসেবে মর্কেলের যোগ্য়তা প্রশ্নাতীত। একসময়ে ডেল স্টেইন (Dale Steyn) ও ভার্নন ফিল্য়ান্ডারের (Vernon Philander) সঙ্গে মর্কেলের ত্রিফলা আক্রমণে ছিল প্রতিপক্ষের কাছে ত্রাস। বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্য়াটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন এই তিন।
৬ ফুট ৪ ইঞ্চির মর্কেল, ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় নিয়মিত বল করার সঙ্গেই দিতেন ‘ঘাতক’ সব বাউন্সার। উচ্চতা কাজে লাগিয়েই বাউন্সার অস্ত্রে নিজেকে করেছিলেন ভয়ংকর ধারাল। তাঁকে সামলাতে হিমশিম খেতে হত বোলারদের। এবার জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজদের নেবেন ক্লাস। গম্ভীরের সঙ্গে এই নিয়ে তৃতীয়বার সাজঘর ভাগ করে নিতে চলেছেন মর্কেল। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে গম্ভীর-মর্কেল একসঙ্গে খেলেছেন। লখনউ সুপার জায়েন্টেও তাঁরা ছিলেন সাপোর্ট স্টাফ। এবার ভারতীয় দলে ফের গম্ভীর-মর্কেল যুগলবন্দি। ভারতের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে মর্কেলের প্রথম অ্য়াসাইনমেন্ট হতে চলেছে সেপ্টেম্বরে ভারত-বাংলাদেশ দুই ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ। শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। ডানকান ফ্লেচার ছিলেন ভারতের শেষ বিদেশি কোচ। প্রায় একদশক পর ফের কোনও বিদেশি কোচকে দেখা যেতে চলেছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে বাবর আজমদের সংসারে ছিলেন মর্কেল। তবে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে, পাকিস্তান পয়েন্ট টেবলে ছয়ে শেষ করে দেশে ফিরে যায়। সেমি ফাইনালে ওঠা হয়নি বাবরদের। মর্কেল চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে শাহিন আফ্রিদিদের তিনি তালিম দিয়েছিলেন। নামিবিয়া, ডারবান সুপার জায়েন্টস ও নিউ জিল্য়ান্ড মহিলা দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন মর্কেল। ৮৬ টেস্টে ৩০৯ উইকেট রয়েছে মর্কেলের। ওডিআই খেলেছেন ১১৭টি। পেয়েছেন ১৮৮ উইকেট। সবরকমের ক্রিকেট মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে ১৫৫৬ উইকেট রয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে মর্কেল পেয়ে ভারতের পেস বিভাগ আগুন জ্বালিয়ে দেবে।