রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ বৈঠকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি উত্থাপন করল ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে পরোক্ষ ভাবে তালিবনকে বার্তা দেওয়া হয় বৈঠকে। বলা হয়, ‘ভারত আশা করছে যে আফগানিস্তান প্রতিবেশী দেশের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠবে না। আশা করা হচ্ছে যে আফগান মাটি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে হামলা চালাবে না লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।’
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যে তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জইশ শীর্ষ কমান্ডর দেখা করে এসেছে কান্দাহারে। এদিকে আফগান জেল থএকে ছাড়া পেয়েছে বহু জঙ্গি। তাদের অনেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এসেছে বলেও গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একটি ভিডিয়ো, তাতে দেখা যাচ্ছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাস্তায় তালিবনি পতাকা উড়িয়ে ব়্যালি করছে জইশ জঙ্গিরা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে আফগানিস্তানের বহু মানুষ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে যে তারা বহু বন্দুকধারীকে দেখেছে যারা আফগানদের মতো দেখতে নয়, বা পাস্তুনদের বা আফগানিস্তানে ব্যবহৃত কোনও ভাষায় কথা বলছে না। এদিকে আইএস জঙ্গিরা কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে। এই পরিস্থিতি কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন নাগরিকদের আসতে বারণ করা হয়েছে। এরই মাঝে গতকাল এক স্নাইপারের গুলিতে কাবুল বিমানবন্দরে মারা গিয়েছেন এক আফগান সৈনিক।
আফগানিস্তানের একাংশ সুর চড়িয়ে বলছে যে পাকিস্তানের মদতেই তালিবান দখল করেছএ কাবুল। আইএসআই-এর মদতে ভারতের তৈরি উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে। কয়েক হাজার লস্কর জঙ্গি তালিবানের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের চিন্তা করার অনেক কারণ রয়েছে।