আগামী এক বছরের জন্য জি-২০-র সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে ভারত। গৌরবের এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, ভারতের জি-২০ এজেন্ডা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাভিলাষী ও কর্মমুখী। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে আগামী বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য জি-২০-র সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। সভাপতিত্বের সময় ভারত সমগ্র দেশের একাধিক স্থানে ৩২টি বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ২০০টি বৈঠক করবে। জি-টোয়েন্টি সভাপতিত্ব গ্রহণ উপলক্ষ্যে এদিন দেশের ১০০টি সৌধ জি-টোয়েন্টি লোগোর আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে টুইট করে জানিয়েছেন, আজ ভারত যখন জি-২০-র সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে, আমরা কীভাবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাভিলাষী, কর্মমুখী এবং বিশ্বের ভালোর জন্য সিদ্ধান্তমূলক এজেন্ডার উপর ভিত্তি করে আগামী বছরে কাজ করতে চাই, সে সম্পর্কে কিছু চিন্তাভাবনা লিখেছি। একই পুরানো শূন্য-সমষ্টির মানসিকতায় আটকে থাকার সময় চলে গিয়েছে, যা অভাব এবং দ্বন্দ্ব উভয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’ থিমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একতাকে আরও উন্নীত করতে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারীর মতো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা যায় একসঙ্গে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে খাদ্য, সার এবং চিকিৎসা পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকে অরাজনৈতিককরণ, টেকসই জীবনধারাকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করার বিষয়ে ভারত উন্মুখ।
উল্লেখ্য, জি-২০ হল বিশ্বের প্রধান উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম। জি-২০ হল আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৯টি দেশ। সমষ্টিগতভাবে জি-২০ বিশ্বব্যাপী জিডিপির ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ। ইতিমধ্যেই ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটও উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।