বিপন্ন হবে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সুপ্রিম কোর্টে সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধীতা আরএসএস-এর মহিলা শাখার

ভারতের সংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিপন্ন হয়ে যাবে যদি সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ তুলে আরএসএসের মহিলা শাখা রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির সামাজিক সংগঠন সংবর্ধনী ন্যাস সংগঠনের তরফে তাদের অবস্থানের কথা লিখিতভাবে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তাদের দাবি, সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ভাবনায় যেনো হিন্দু বিবাহ আইনে কোনও বদল ঘটানো না হয়। প্রসঙ্গত সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে আরএসএস এবং বিজেপি প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে। তাদের গণসংগঠনগুলিও এটা নিয়ে প্রচার চালিয়েছে। এবার সমলিঙ্গে বিয়ের অধিকারের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালো সংঘের মহিলা শাখা।

সম্প্রতি সংঘের একটি সংগঠন দাবি করেছে, তাদের সংগঠনের অধীনে সারাদেশে ৩০০ জনেরও বেশি ডাক্তারের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় তাঁরা জানিয়েছেন সমকামিতা একটি মানসিক ব্যাধি। ফলে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধ করা হলে রোগীর নিরাময়ের পরিবর্তে সমাজে ব্যাধি বাড়তে পারে।

নরেন্দ্র মোদী সরকারও প্রথম থেকেই সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুরের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে জানানো হয়েছিল সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতির দাবি নেহাত শহরের অভিজাত সমাজের ভাবনা। যদিও প্রধান বিচারপতি এক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সমকামিতা যে কেবল শহরে বিষয় এমন কোন পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।

কেন্দ্রের তরফে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত জানতে চাওয়ার পক্ষে সাওয়াল করা হয়েছে। বুধবার কেন্দ্র জানিয়েছে, কংগ্রেস পরিচালিত রাজস্থান সরকার সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.