আজ রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের ষষ্ঠ দিন। এর মধ্যে দুই পক্ষ আলোচনায় বসলেও কোনও মীমাংসার এখনও পর্যন্ত খবর নেই। এদিকে ভারত সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় একের পর এক বিশেষ বিমান ইউক্রেনে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনছে দেশে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউক্রেনে পাঠরত প্রায় ৮০ হাজার বিদেশি ছাত্রছাত্রীর এক চতুর্থভাগই ভারতীয়, এবং তার মধ্যে বেশিরভাগই ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন ইউক্রেনে।
প্রশ্ন হল, ভারতের মতো দেশে সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ থাকলেও অনেক ভারতীয় কেন ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান? জেনে নিন কারণগুলি:ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
- ভারতের চেয়ে তুলনায় ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়া অনেক সস্তার। ভারতের মতো দেশে, যেখানে ডোনেশন-সহ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারি পড়তে গেলে প্রায় এক কোটি টাকার আশপাশে খরচ হয়, সেখানে ইউক্রেনে খরচ ৩০-৩৫ লাখের আশপাশেই হয়।
- ইউক্রেনের ক্ষেত্রে অন্য কোন বিদেশি ভাষা নয়, বরং ইংরেজি মাধ্যমেই পড়ানো হয়। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে যা বাড়তি সুবিধার।
- ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে ওখানকার কলেজ, ইউনিভার্সিটিগুলির স্বীকৃতি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন নয়, ওয়ার্ল্ড হেলথ কাউন্সিল, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিসিন দ্বারাও স্বীকৃতপ্রাপ্ত বেশিরভাগ ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- এছাড়া ইউক্রেনের নামজাদা বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সেই রকম কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা নেই। ভারতের ক্ষেত্রে সরকারি বা অনেক বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করা বাধ্যতামূলক। তাই এরকম ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন, যাঁরা ভারতে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে ইউক্রেনে ভর্তি হয়েছে।
- ইউক্রেন থেকে ডাক্তারি পড়ে এসে এখানে পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারেরা প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেন।
বলাই বাহুল্য, যদি এই সমস্ত ছাত্রছাত্রী ভারতেই ডাক্তারি পড়তেন, তাহলে দেশের কোষাগার লাভবান হত এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আরও একটি স্তরে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হত। তাই সামনের দিনে যদি ভারত সরকার এই বিষয়ে গুণগত মানের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারি পড়াশোনার পরিকাঠামোর দিকে নজর দেয়, তাহলে আদতে ভারতের লাভ হবে।