ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজের একটি অগ্নিনির্বাপক দল শনিবার রাতে এডেন উপসাগরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধারকাজ চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত হওয়া একটি বণিক জাহাজে লাগা বড় আগুন নিভিয়েছে তাঁরা।
শনিবার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণের পরে আইএনএস বিশাখাপত্তনম বণিক জাহাজ মার্লিন লন্ডা থেকে একটি এসওএস কলে সাড়া দিয়েছিল। তেলবাহী ট্যাংকারটিতে ২২ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি ছিলেন।
নৌবাহিনী X-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে মার্চেন্ট জাহাজের ক্যাপ্টেন SOS কলে সাড়া দেওয়ার জন্য যুদ্ধজাহাজের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বণিক জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিলাশ রাওয়াত বলেন, ‘আমি ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিশাখাপত্তনমকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এই আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করার সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ভারতীয় নৌবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানাই যাদের বিশেষজ্ঞরা আগুনের সঙ্গে লড়াই করতে জাহাজে এসেছিলেন। ভারতীয় নৌবাহিনী আমাদের সাহায্য করার জন্য সাধ্যের বেশি কাজ করেছে’।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে যে ১০টি দমকল বাহিনীর একটি দল ছয় ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আরও বলা হয়েছে ‘MV #MarlinLuanda-তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। MV-এর ক্রুদের সঙ্গে ছয় ঘণ্টার লড়াইয়ের পর, ফায়ার ফাইটিং টিম সফলভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দলটি বর্তমানে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে যাতে দের আগুন জ্বলার সব সম্ভাবনা নাকচ হয়’। নৌবাহিনী বলেছে, একটি মার্কিন এবং ফরাসি যুদ্ধজাহাজও ওই বণিক জাহাজের দুর্দশার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে যে ইউকে-র কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজটি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ইসরায়েল-হামাস বিরোধের মধ্যে লোহিত সাগরে বাণিজ্য জাহাজগুলোকে আক্রমণ করছে দলটি।
১৮ জানুয়ারী, আইএনএস বিশাখাপত্তনম ভারতীয় ক্রুদের অন্য একটি বণিক জাহাজের অনুরূপ দুর্দশার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল। এই জাহাজটিকে ড্রোন দ্বারা আক্রমণ করেছিল। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি কেম প্লুটো, ২১ জন ভারতীয় ক্রু সদস্য সহ, ২৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিম উপকূলে ড্রোন হামলার শিকার হয়।