পাক অনুপ্রবেশ বন্ধে কাশ্মীরে ভারতীয় সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। আর সেই পাকিস্তানি নাগরিকরা ঢুকে পড়েছে ভারতীয় সেনায়? এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই অভিযোগ নিয়ে মামলা করলেন হুগলির এক ব্যক্তি। ওই অভিযোগ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
অভিযোগ, দুই পাকিস্তানি নাগরিক পরীক্ষা দিয়ে ভারতীয় সেনায় ঢুকেছে। চাকরি পাওয়ার জন্য তারা নথিও জাল করেছে। এর পেছনে বড়়সড় কোনও চক্র রয়েছে বলা দাবি অভিযোগকারীর। এমনও দাবি করা হচ্ছে এ রাজ্যের পুলিস, ভিন রাজ্যের পুলিস, সেনাবাহিনীতে কর্মরত আধিকারিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে। পুলিস প্রশাসন-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করেছে। থানা ও পুরসভার মাধ্যমে এই জালিয়াতি করা হয়েছে।
মারাত্মক ওই অভিযোগে বলা হয়েছে দুই অভিযুক্ত এখন ব্যারাকপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কাজ করছেন। বিষয়টি শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বলেন, আইএসআই ভারতীয় সেনায় লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মারাত্মক অভিযোগ। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ উঠছে। সিবিআই, ইস্ট্রার্ন কমান্ডের জিসিও ও মিলিটারি পুলিসকে পার্টি করতে হবে। সিআইডিকে এই অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। তারা প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে। আগামী ২৬ জুন পরবর্তী শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চর সন্দেহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রেফতার হয়েছে একাধিক ব্যক্তি। কেউ সাধারণ নাগিরক, কেউ আবার সেনাবাহিনীরই কর্মী। গচ বছর ডিসেম্বর মাসে সুরাট থেকে গ্রেফথার হয় দীপক কিশোর সালুঙ্কে নামে এক ব্যক্তি। সুরাটের ভুবনেশ্বরী নগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দোকান চালানোর আড়ালে চরবৃত্তি করত। দেশের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের আদিকারিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সে আইএসঈআইএর হাতে তুলে দিত হলে অভিযোগ।
ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনে কাজ করতেন রমেশ সিং কল্যাণ নামে এক ব্যক্তি। ২০১৮ সালের ২৫ মে তাকে উত্তর প্রদেশের পিথারগড় থেকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ। রমেশের ভাই সেনাবাহিনীতে কাজ করতে। সেই সূত্রেই হাইকমিশনে রাঁধুনির কাজ পায় কল্যাণ। টাকা নিয়ে সে আইএসআইকে গোপন তথ্য সরবারহ করত বলে দাবি করে এসটিএফ।