তিন ফরম্যাটে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে (India Squad For South Africa Tour) ভারত এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। টি-২০ সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ ব্য়বধানে। রবিবার অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হয়ে গেল দুই দেশের মধ্য়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ (India vs South Africa 1st ODI)। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বের ব্য়াটন উঠেছে কেএল রাহুলের (KL Rahul) হাতে। এদিন টস জিতে আইদেন মারক্রমের (Aiden Markram) টিম প্রথমে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত একেবারে ভুল প্রমাণ করে দেন ভারতের দুই পেসার। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে আগুনে বোলিং করলেন অর্শদীপ সিং ও আবেশ খান (Arshdeep Singh And Avesh Khan)। তাঁদের সৌজন্য়েই ভারত আয়োজক দেশকে বেঁধে ফেলেছিল মাত্র ১১৬ রানে। জবাবে ভারত হাতে ২০০ বল রেখে, আট উইকেটে ম্য়াচ জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। পাঁচ বছরে এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারত প্রথম ওডিআই জিতল।
কথায় বলে ‘মর্নিং শোজ দ্য় ডে’। অর্থাৎ সকালটাই বলে দেয় যে, দিন কেমন হতে চলেছে। অর্শদীপ শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, এদিন তিনি বড় কিছু করতে চলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আট ওভারের মধ্য়ে। মাত্র ৪২ রানে ফিরে যায় টপ অর্ডার। সৌজন্য়ে পঞ্জাব পুত্তর। তিনিই তুলে নেন রেজা হেনরিক্স (০), টনি ডে জোরজি (২৮) ও রাসি ভ্য়ান ডার ডুসেনকে (০)। এরপর অর্শদীপের ‘পার্টনার ইন ক্রাইম’ হয়ে ওঠেন আবেশ। মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। অর্শদীপ এদিন তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট পেলেন। ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ৩৭টি রান। আবেশ পেলেন চার। আট ওভার বল করে তিনি খরচ করেছেন ২৭ রান। আবেশের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে সেরা পরিসংখ্য়ান। একটি উইকেট কুলদীপ যাদবের। প্রোটিয়া বাহিনীর সর্বোচ্চ স্কোরার আটে নামা আন্দিলে ফেলুকায়ো। ৪৯ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এই পেসার যদি এদিন ব্য়াট হাতে দাঁড়াতে না পারতেন, তাহলে ১০০ রানও করতে পারত না দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত মারক্রম অ্যান্ড কোং ২৭.৩ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায়। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে, ভারত এই ম্য়াচ জিতে, সিরিজে এগিয়ে যেত, তা বোঝাই গিয়েছিল। বাস্তবেও ঘটল সেটাই।
ভারতের হয়ে রান তাড়া করতে নেমেছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও অভিষেককারী সাই সুদর্শন। উইয়ান মাডলারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান রুতুরাজ। ১০ বলে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। এবার সাই ও তিনে নামা শ্রেয়স আইয়ার মিলেই জেতার রান তুলে দেন। ৭৩ বলে ৮৮ রান যোগ করেন তাঁরা। শ্রেয়স যখন ফেরেন. তখন ভারতের স্কোর ২ উইকেটে ১১১। ১৫ ওভারের শেষ বলে তিনি ফেলুকায়োর বলে ডেভিড মিলারের হাতে ক্য়াচ তুলে দেন। শ্রেয়স ৪৫ বলে ৫২ রান করে ফেরেন। ভারতের জয়ের জন্য় বাকি রান তুলে দেন সাই ও তিলক বর্মা। ১৬.৪ ওভারে ভারত খেলা শেষ করে দেয়। জীবনের প্রথম একদিনের আন্তজার্তিক ম্য়াচে অপরাজিত ইনিংস খেলে স্মরণীয় করে রাখলেন সাই। ৪৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) কাবেখায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্য়াচ। এই ম্য়াচ জিততে পারলেই সিরিজ রাহুলদের পকেটে।