আগামিকাল দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে মক ড্রিল। দেশের ২৪৪ জেলায় হবে মক ড্রিল। মানুষকে শেখানো হবে হামলা হলে কীভাবে সতর্ক হতে হবে। এর পাশাপাশি আগামিকাল থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে শুরু হবে ভারতীয় বায়ুসেনার বড় আকারে ড্রিল।
কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই জারি করেছে NOTAM(Notice to Airmen)। সেখানে বলা হয়েছে আগামী কাল ও পরশু দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশের পাক ভারত সীমান্তের পুরো মাত্রায় এয়ার ড্রিল করবে বায়ুসেনা। এমনটাই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
ওই বিমান মহড়ায় অংশ নেবে রাফাল, মিরাজ ২০০০, সুখোই ৩০ এর মতো ফাইটার জেট। ওই এয়ার ড্রিলের উপরে নজর রাখবেন বায়ুসেনার আধিকারিকরা। মহড়া দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। নোটামের অর্থ কোনও একটি এলাকায় ওইসময়ে বিমানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত এরকম বড় আকারের বিমান মহড়ার নামল বায়ুসেনা। পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ সীমান্তরর্তী এলাকায় বিমানবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষকরে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল ভারত একটি বড় ধরনের সেনা মহড়া শেষ করেছে। সেখানে অংশ নেয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা। ভারত পাক যুদ্ধের আবহে ভারত তৈরি রেখেছে তার বিশ্বস্ত অস্ত্র রাফাল জেট। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারতের পাইলটরা তাদের আঘাত হানার প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। মিসাইল থেকে অন্যান্য সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের পর আগামিকাল দেশজুড়ে প্রথম দেশে মক ড্রিল অনুষ্টিত হতে চলেছে। দেশের ২৪৪ জেলায় তা অনুষ্ঠিত হবে।
সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা। যুদ্ধ হলে যেকোনো সময় বড়সড়ো সংকট নেমে আসতে পারে রাজ্যের উপর। তাই দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিদের রীতিমত প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আগামীকাল থেকে সাত দিন নিজেদের সমস্ত ব্যবস্থাপনা গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে যেখানে ত্রুটি রয়েছে সেগুলি দ্রুত সংশোধন করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই যুদ্ধ ও নিজেদের ঘরোয়া পরিকাঠামোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এনডি আর এফে-এর ডিজি। রাজ্যের প্রস্তুত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব রাজেশ সিনহা, ছিলেন ডিজি সিভিল ডিফেন্স জগমোহন।
ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যদি কোন ভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে কিভাবে সামগ্রিকভাবে উদ্ধারকাজ বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে রাজ্যকে। এটাই মূলত যে মকড্রিলের কথা বলা হচ্ছে তা। রাজ্যের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মকড্রিলের সঙ্গে সরাসরি সাধারণ মানুষের কোন যোগ নেই। বরং এর সঙ্গে অনেক বেশি জড়িত বিভিন্ন ব্যবস্থা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নি নির্বাপন, উদ্ধার কাজ, হাসপাতালের বেড প্রকৃতি। সবকিছু কতটা সচল আছে সবটাই ঝালিয়ে নেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা।