ভারতের মাটি থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে, তখন তা অবশ্যই সকলের কাছে এক গর্বের মুহূর্ত সৃষ্টি করে। এমনই এক স্মরণীয় মুহূর্তের আবারও সাক্ষী রইল ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি (এসএনইউ)’। গত বছরের পর পুনরায়, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আবারও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে সম্মানজনক ‘ব্রিকস স্কিলস কম্পিটিশন ২০২৫’-এ, যা অনুষ্ঠিত হবে চীনে।
‘ব্রিকস স্কিলস কম্পিটিশন’ হল একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ, যেখানে ব্রাজ়িল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেধাবী তরুণ উদ্ভাবকেরা একত্রিত হয়ে নিজেদের দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শন করেন। এখানে অংশগ্রহণকারীরা ডেটা অ্যানালাইসিস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ডিজ়াইন-সহ নানা উদীয়মান ক্ষেত্রে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারা তুলে ধরেন।
এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, দক্ষতা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধন এবং শিক্ষা ও শিল্পজগতের মধ্যে একটি বন্ধন গড়ে তোলা।
‘ব্রিকস ২০২৪’-এ ‘এসএনইউ’-এর সাফল্য

গত বছরের ‘ব্রিকস স্কিলস কম্পিটিশন ২০২৪’-এ ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’-র শিক্ষার্থীরা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে দেশকে গর্বিত করেছেন।
– সৌমেধিক ভারতী – ২য় পুরস্কার (অফলাইন বিভাগ)
– জিশ্ণু বরুয়া – ৩য় পুরস্কার (অফলাইন বিভাগ)
– ঐশিতা কুণ্ডু – ২য় পুরস্কার (অনলাইন বিভাগ)

এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইন্দ্রনীল সরকার, যিনি তাঁর অসাধারণ অবদানের জন্য সম্মানিত হয়েছেন ‘এক্সেলেন্ট গাইডেন্স এক্সপার্ট’ পুরস্কারে।
‘ব্রিকস ২০২৫’-এও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে ‘এসএনইউ’-এর শিক্ষার্থীরা
সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’ আবারও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘ব্রিকস স্কিলস কম্পিটিশন ২০২৫’-এ।
এ বছর ডেটা অ্যানালাইসিস ও ভিজ়ুয়ালাইজেশন বিভাগে অংশ নেবেন—
– স্নেহা কুণ্ডু এবং শিবম মণ্ডল (অফলাইন বিভাগ)
– তুনীর অধিকারী, অহনা দাসগুপ্ত এবং সৈকত প্রধান (অনলাইন বিভাগ)
তাঁদের অংশগ্রহণের প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়নী মণ্ডল, যাঁর দক্ষ তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুনিপুণভাবে প্রস্তুত করেছেন।
এক দৃঢ় পদক্ষেপ
চীনে শিক্ষার্থীদের এই যাত্রা, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও সহযোগিতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’-র এই যাত্রা কেবল প্রতিষ্ঠানকে নয়, সমগ্র জাতিকেও গৌরবান্বিত করছে।

