এই মুহূর্তে ২১৪৯ টি অ্যাকিটভ কেস দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ডেইলি পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে ০.১৪ শতাংশ এবং মোট সংক্রমণের অ্যাকটিভ কেস হল ০.০১ শতাংশ। এই প্রেক্ষিতে নতুন করে ৯১টি সংক্রমণের কেস সম্প্রতি জানা গিয়েছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আর এর ফলে, এই নিয়ে অ্যাকটিভ কেস দাঁড়াল ১৮১৭টি। কোভিড রিলেটেড ডেথ কাউন্ট দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৬৯!
চিনের অবস্থা প্রকাশ্যে আসার পরই করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে জানুয়ারির শেষে একদিনে ৮৯টি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যা ২৭ মার্চ, ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ০.০১ শতাংশ এবং দেশে কোভিড-১৯ সুস্থতার হার বেড়ে ৯৮.৮০ শতাংশ হয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের হার ০.০৫ শতাংশ, সাপ্তাহিক পজেটিভের হার ০.০৯ শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪,৪১,৪৮,৪৭২ এবং মৃত্যু হার ১.১৯ শতাংশ। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি ১৭ লক্ষ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য তখনই সংস্থা জানিয়েছিল, চিনে যে করোনা-ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে না। এই স্বস্তির বার্তা দিলেও পাশাপাশি ‘হু’ এ-ও জানিয়েছিল, নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি নিয়ে একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকারও কোনও যুক্তিও নেই!
ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশে চিন থেকে আসা যাত্রীদের উপর কড়া কোভিডবিধি জারি করা হয়েছিল। তবে তার পরেই ‘হু’র এ ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।