India Myanmar Border Fence: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ১৬৪৩ কিলোমিটার লম্বা বেড়া দেবে কেন্দ্র, ঘোষণা শাহর

সীমান্ত পেরিয়ে এসে বারবার ভারতীয় ভূখণ্ডে এসে গোলমাল পাকাচ্ছে মায়ানমারের জঙ্গিরা, পাশাপাশি রয়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। সমস্যা সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ভারত-মায়ানমার সীমান্তের ১৬৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়া হবে।  এতে সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়বে। কিছুদিন আগেই অসম পুলিসের এক অনুষ্ঠানে এরকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শাহ।

তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে অমিত শাহ জানিয়েছেন, নিশ্চিদ্র সীমান্ত তৈরি করতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। ঠিক হয়েছে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ১৬৪৩ কিলোমিটার লম্বা বেড়া দেওয়া হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমান্তে চলবে টহলদারি। গোটা সীমান্তের মধ্যে মণিপুরে ইতিমধ্যেই ১০ কিলোমিটার এলাকায় তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ কিলোমিটার বেড়া দেওয়ার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এর পাশাপাশি অত্যাধুনিক নজরদারির দুটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়েছে।

গত সেপ্টম্বর মাসেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে তারের বেড়া দেওয়া হোক। মণিপুরের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্তের দৈর্ঘ ৩৯০ কিলোমিটার। তার মধ্যে মাত্র ১০ কিলোমিটার অংশে বেড়া দেওয়া রয়েছে।

মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেয় মোট ৪টি রাজ্য। ওইসব রাজ্য হল মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশ। এক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে। ওই বোঝাপড়া অনুযায়ী সীমান্তে বসবাসকারী উপজাতিরা দুই দেশের সীমান্তে ১৬ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত যেতে পারেন। সীমান্ত অঞ্চলের উপজাতিরা বর্ডার পাস দেখিয়ে দুইদিকে, ২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারেন। ওই ব্যবস্থাও তুলে দেওয়ার আবেদন জানান এন বীরেন সিং।

ভারত মায়নামার সীমান্তে নতুন এক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। সেটি হল ভাইব্রান্ট ভিলেজ। সাধারণভাবে সীমান্তের কোনও গেরামকে বলা হয়ে লাস্ট ভিলেজ। কিন্তু সরকারের নতুন নীতি অনুযায়ী ওইসব গ্রামকে বলা হচ্ছে ফাস্ট ভিলেজ। ওইসব গ্রামের উন্নতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.