মুসলিম রাষ্ট্র আজারবাইজান সামরিক সাহায্য পাচ্ছে তুরস্ক ও পাকিস্তানের থেকে। সীমান্ত সংঘর্ষের প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ‘সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে’ রয়েছে বলেই পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি। আজারবাইজানের মোকাবিলায় এ বার খ্রিস্টান-প্রধান আর্মেনিয়া দ্বারস্থ হল নয়াদিল্লির। সে দেশের বিদেশ দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে অবহিত করেছি যে, আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে।’
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে ২০২০ সালে দু’দেশের যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। সে সময় মস্কোর মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতি হয়েছিল। কিন্তু এ বার ইউক্রেন সমস্যায় ব্যতিব্যস্ত ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে সেই ভূমিকা নেওয়া সম্ভব নয় বলেই কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৈরি পিনাকা কার্গিল যুদ্ধে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। ট্রাকের উপর বহনযোগ্য ৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। ডিআরডিও এই ‘মাল্টিপল রকেট লঞ্চার’ মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আজারবাইজানের হানা ঠেকাতে আর্মিনিয়া ফৌজের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।