ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও বেশি সংখ্যক M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইত্জার কিনতে চলেছে আমেরিকার থেকে। চিনা সেনার সম্ভাব্য হামলার কথা মাথায় রেখে সীমান্তে নিজেদের শক্তি বাড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনা। উল্লেখ্য, লাদাখের পর চিনের সাথে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে অরুণাচলপ্রদেশের পাহাড়ি এলাকাতেও। তাই এই অঞ্চলেও আরও বেশি সংখ্যক কামান মোতায়েন করা হয়। এই আবহে আমেরিকা থেকে ৫৬টি M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইত্জার পেতে চলেছে ভারত। ২০১৬ সালে ১৪৫টি M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইত্জার অর্ডার করে ভারতীয় সেনা। এই কামান কিনতে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত। সেই অর্ডারের ৮৯টি কামান ইতিমধ্যেই ভারতের হাতে এসেছে। সেই অর্ডারের ৫৬টি আরও কামান ভারত পাবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে।
পূর্ব সেক্টরে M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইত্জার ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে CH-47F চিনুক হেলিকপ্টার। সুইডিশ অস্ত্র সংস্থা বোফর্স এবি-র তৈরি আপগ্রেডেড L-70 অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট কামানও পূর্ব সেক্টরে মোতায়েন করা হয়েছে। উচ্চতা এবং দুর্গম পথের কারণে সীমান্তের বহু স্থানেই ভারী কামান মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। তবে চিনুকের সাহায্যে সেই সব স্থানে M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইত্জার মোতায়েন করা হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
প্রসঙ্গত, সিকিম থেকে অরুণাচলপ্রদেশ পর্যন্ত ভারত-চিন সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৪৬ কিলোমিটার। গত প্রায় ১৮ মাস ধরে লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত। এরই মাঝে সীমান্ত বিবাদের জেরে অরুণাচলেও সম্প্রতি দুই দেশের সেনা মুয়খোমুখি হয়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে চিন যুদ্ধের অভ্যাসের তীব্রতা বাড়িয়েছে সীমান্ত পারে। পাশাপাশি সেখানে রিজার্ভ ফোর্সও মোতায়েন করেছে পিএলএ। ক্রমেই অরুণাচল সীমান্ত বরাবর পরিস্থিতিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কমান্ডারস্তরে মোট ১৩ দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিবাদের মীমাংসা কিছুই হয়নি। শেষবার এই বৈঠক হয় গত ১০ অক্টোবর। এই আবহে অত্যাধুনিক কামানের পাশাপাশি অরুণাচলপ্রদেশের ভারত-চিন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের মতো বাহনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।