খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার প্রভাব এবার ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে! স্রেফ কড়া প্রতিক্রিয়াই নয়, সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। বস্তুত. কানাডা সরকারের নিশানায় থাকা সমস্ত কুটনীতিবিদকেই ফেরত আনা হচ্ছে। বিবৃতি দিয়ে জানানো হল বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
ঘটনাটি ঠিক কী? কানাডায় খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জর হত্যায় কাঠগড়া সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা। এই ঘটনায় সঞ্জয়কে ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করেছিল কানাডা সরকারের তদন্তকারীর সংস্থা। কবে? গতকাল রবিবার। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় অবশ্য় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি।
চুপ করে থাকেনি ভারতও। আড, সোমবার সকালে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুজোর সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করেনি’। এর পর সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সঞ্জয়কে ফেরত আনার কথা জানানো হয়।
২০২০ সালে খালিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। এরপর ২০২৩ সালে ১৮ জুন কানাডার একটি গুরুদ্বারের সামনে খুন করা হয় তাঁকে। কানাডা সরকারের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে। এমনকী, নিজ্জর খুনে জড়িত সন্দেহে কয়েকজন ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোম্ভুতকে গ্রেফতারও করেছিল কানাডা পুলিসের ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম।