রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। সকাল থেকেই স্কুল-কলেজ-ক্লাব-অবাসন গুলোতে উত্তোলন হবে জাতীয় পতাকা, সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘জন গন মন’। ভারতবাসীর কাছে এই গান শুধু জাতীয় সংগীত নয়, বরং ভালোবাসা, অহংকার, গর্ব। ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর রবিঠাকুর লেখা এই গানকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল জাতীয় সংগীত হিসেবে। আর এই গানে রবীন্দ্রনাথ ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভারতের সমৃদ্ধি, বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতি। বাংলাতে লেখা এই গান এখন ফেরে গোটা ভারতবাসীর মুখে। ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতার কংগ্রেসের মিটিংয়ে প্রথমবার গাওয়া হয়েছিল ‘জন গন মন’।
১৯৪১ সালে সুভাষচন্দ্র বসু এই গানের একটা আলাদা ভার্সন নিয়ে আসেন। নেতাজি জাতীয় সংগীতকে বাংলা থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করেন। ফৌজের ক্যাপ্টেন আবিদ আলি অনুবাদ করেন হিন্দিতে আর ক্যাপ্টেন রাম সিং সুর দিয়েছিলেন। ইংরেজি সহ ২২টি ভাষায় সেই সময় অনুবাদ করা হয়েছিল এটিকে সেই সময়ে।
১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি এই গানকে ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেওয়া হয় অফিসিয়ালি। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ তা ঘোষণা করেন।
সাধু বাংলায় লেখা হয়েছিল ‘জন গন মন’ যা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। ফলত গানে ব্যবহৃত বেশিরভাগ শব্দের সঙ্গে মিল রয়েছে একাধিক ভারতীয় ভাষার। ফলত বহু ভাষাভাষী মানুষের পক্ষেই তা বোঝা সম্ভব।
ভারতীয় সংবিধানের 51A(a) ধারায় ভারতবাসীকে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘প্রত্যেক দেশবাসীকে সংবিধান মেনে চলতে হবে এবং তার ধারণা ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে সম্মান করতে হবে।’ National Honour Act of 1971 সেকশন ৩-এ বলা হয়েছে, জাতীয় সংগীতের অবমাননা ও নিয়ম না মানলে কঠিন শাস্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।