প্রথম টেস্ট বড় ব্যবধানে জয়ের পর এ বার ভারতের সামনে মিশন বেঙ্গালুরু। ১২ মার্চ থেকে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হতে চলেছে। এই টেস্ট দিন-রাতের হবে। পিঙ্ক বলের টেস্টে ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যাইহোক চিন্নাস্বামীতে দিন-রাত্রি টেস্ট আয়োজন করার জন্য কতকগুলি ফ্যাক্টর কাজ করছে। যেমন-ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
১) টেস্টটি দু’টি অর্ধে খেলা হবে। সূর্যাস্তের আগে এবং পরে। দু’টি পরিস্থিতিতে কিন্তু খেলার গতি দু’রকম থাকবে। তার কারণ প্রথম দু’টি সেশনের তুলনায় বলটি চূড়ান্ত সেশনে ভিন্ন ভাবে আচরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এটি ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, প্রথম সেশনে ব্যাটাররা সুবিধে পাবে। আর দ্বিতীয় সেশনে অর্থাৎ সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাস্ট বোলাররা সহায়তা পেতে পারে।
২) গোলাপী বলের টেস্ট মানেই প্রথম যে জিনিসটি মাথায় আসে, সেটি হল শিশির ফ্যাক্টর। যেটা কিন্তু গোলাপি বলের টেস্টের ক্ষেত্রে বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়। যে সব জায়গায় সন্ধ্যের সময়ে শিশির পড়ে, সেখানে বোলারদের বল ধরে রাখা কঠিন, সেখানে ব্যাটসম্যানদের কম বাউন্স এবং স্কিডিং বলের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।
কিন্তু বেঙ্গালুরুর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ করে বছরের এই সময়ে, শিশির ফ্যাক্টর সে ভাবে কার্যকরী হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে না। আসলে দক্ষিণ ভারতের এই শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,০০০ ফুট উপরে অবস্থিত, যার মানে আর্দ্রতার মাত্রা কম থাকবে। গ্রীষ্মকাল পড়ছে। যে কারণে শিশির পড়লেও, তা গভীর রাতে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবে খেলার চলার সময়ে শিশির পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
৩) বেঙ্গালুরুতে শুষ্ক গরমের কারণে, বিকেলে আর্দ্রতা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হবে, বিশেষ করে খেলার প্রথম দু’ ঘন্টায়। ফ্লাডলাইটে ম্যাচ আয়োজন করা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, এই ম্যাচে গ্রাউন্ড স্টাফেদের দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। ভারসাম্য এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ হবে টেস্টের আসল চাবিকাঠি। যদি তারা প্রথম সেশনে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কাজ করে, তাহলে বল নরম হয়ে যাওয়ার এবং আলোর নিচে সিমিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।