IND vs PAK: ‘চক দে ইন্ডিয়া’, দু’দিনের খেলায় ২২৮ রানে পাকিস্তানকে পিষে ইতিহাস ভারতের!

 চক দে ইন্ডিয়া! চলতি এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) ফিরতি ম্য়াচে মুখোমুখি হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India) ও পাকিস্তান (Team Pakistan)। শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (Pallekele International Cricket Stadium) বৃষ্টিবিঘ্নিত সুপার ফোরের ম্য়াচ চলল দু’দিন ধরে। ভারত ২২৮ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে লিখল ইতিহাস! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্য়াচে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় রানের ব্য়বধানে জয়! করে দেখাল টিম ইন্ডিয়া। এই জয়ের ফলে ফাইনালের দিকে আরও এক পা বাড়িয়ে দিল ভারত। আগামিকাল সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ভারত।

গতকাল টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল দুরন্ত একটা মঞ্চ গড়ে দিয়ে ফিরে যান। ১৬.৪ ওভার একসঙ্গে ব্য়াট করেন রোহিত-শুভমন। তাঁরা স্কোরবোর্ড যোগ করেছেন ১২১ রান। রোহিত ৪৯ বলে ৫৬ রান করেছেন এদিন। শাহদাব খানের বলে তুলে মারতে গিয়ে তিনি আউট হয়ে যান। বাজে শট খেলেই আউট হলেন অধিনায়ক। তবে ফাহিম আশরাফ লং অফে অসাধারণ স্লাইডিং ক্য়াচটিও নিয়েছেন। রোহিত ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই শুভমনও ফিরে যান। শুভমন ৫২ বলে করেছেন ৫৮ রান। ১৭.৫ ওভারে ভারত রোহিত-শুভমনকে হারায়। তখন স্কোরবোর্ডে রান উঠে গিয়েছিল ১২৩।

এরপর বাকি রানটা আসে বিরাট-রাহুলের ব্য়াট থেকে। ১৯৪ বলে ২৩৩ রান যোগ করলেন তাঁরা। এশিয়া কাপে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। কোহলি ৯৪ বলে ১২২ রান করলেন এদিন। ১৪৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ৯টি চার ও ৩টি ছয়ের সৌজন্যে অসাধারণ সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। ১২৯.৭৮ এর স্ট্রাইক রেটে ব্য়াট করে, কেরিয়ারের ৪৭ তম একদিনের আন্তর্জাতিক শতরান করলেন তিনি। দ্রুততম ব্য়াটার হিসেবে দেশের জার্সিতে ১৩ হাজার ওয়ানডে রানে রেকর্ডও করেলন কোহলি। অন্য়দিকে রাহুল দীর্ঘ পাঁচ মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন। কেরিয়ারের ছয় নম্বর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১০৬ বলে ১১১ রানের ইনিংসে রাহুল ১২টি চার ও জোড়া ছক্কা হাঁকালেন। চার ব্য়াটারের দাপটে ভারত নির্ধারিত ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে পাহাড় প্রমাণ ৩৫৬ রান।

ভারতের এই রান তাড়া করতে নেমে বাবর আজম অ্যান্ড কোং অসহায় আত্মসমর্পণ করে কলম্বোতে। কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণাবর্তে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৮ রানে! বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে দল হামাগুড়ি দিয়েছে মাঠে। দলের চার ব্য়াটার মাত্র দুই অঙ্কের রান করেছেন। বাকি সবাই দশের মধ্যেই ফিরে গিয়েছেন। কুলদীপ তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ফের একবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন, যে কেন নির্বাচকরা যুজবেন্দ্র চাহালের চেয়ে তাঁকে এগিয়ে রেখেই বিশ্বকাপের দল গড়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও শার্দূল ঠাকুর। এই ম্য়াচে ভারতের প্রাপ্তি কেএল রাহুল ও বুমরা। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর দলে ফিরে রাহুল দাপুটে সেঞ্চুরিতেই কামব্য়াক করলেন। বুমরা ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্য়াচ খেলতে নেমেই পেয়ে গেলেন উইকেট। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.