ভারত-ইংল্যান্ডের ম্যাচ মানেই বিরাট কোহলি বনাম জেমস অ্যান্ডারসনের লড়াই। যতই দুই দলে আরও ১০ জন করে খেলোয়াড় থাকুক না কেন, বরাবরই ভারত-ইংল্যান্ড লাল বলের ক্রিকেট খেললে ভারতের সেরা ব্যাটার বনাম ইংল্যান্ডের সেরা বোলারের লড়াইটাই থাকে ট্যাগলাইন।
অ্যান্ডারসনের বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। সম্ভবত শেষবারের মতো ভারতের মুখোমুখি হচ্ছেন অ্যান্ডারসন। তবে এই বয়সে এসেও যে তাঁর ধার এতটুকু কমেনি, তা আবারও সাফ করে দিলেন অ্যান্ডারসন। এজবাস্টনে টসে জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করার আহ্বান জানান বেন স্টোকস। মেঘলা আকাশে নতুন লাল বলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সেরা অস্ত্র হলেন অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারী কিন্তু হতাশ করেননি। লাঞ্চের আগে ভারতীয় দলের দুই উইকেটই তুলে নেন অ্যান্ডারসন।
একেবারে টিপিক্যাল ভঙ্গিমায় অ্যান্ডারসনের বলে শুভমন গিল ও চেতেশ্বর পূজারা আউট হন। দুইজনেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন। গিলের উইকেটটা নিয়েই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য নজির গড়ে ফেলেন জিমি। তিনি প্রথম বোলার যিনি ঘরের মাঠে নির্দিষ্ট কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ টেস্ট উইকেট নিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১০১টি উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের হরভজন সিং। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতে ৮৬টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া পর আরও দুই ইংলিশম্যান স্টুয়ার্ট ব্রড ও ইয়ান বোথাম রয়েছেন। তাঁরা উভয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৮৪ ও ৭৯টি উইকেট নিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান একটা কথা সাফ করে দিল, শুধু কোহলি নন, বাকি ভারতীয় ব্যাটাররাও কিন্তু অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে বারংবার ব্যর্থ হয়েছেন।