সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিলেও গত বছরের তুলনায় ৪৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোওয়া এখনও পর্যন্ত কম হয়েছে। কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে, চাষ করলেই ফসল বীমার সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম দেওয়া হবে বলে জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে ২০২২- এ এই সময় পর্যন্ত খরিফ শস্য রোপন করা হয়ে গিয়েছিল ১ লক্ষ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এই বছর বর্ষা সেভাবে নামেনি। তবে মঙ্গল ও বুধবার ২ দিন ভারী বৃষ্টি দেখা দিলেও সেভাবে ধান রোওয়া হয়নি। জেলা কৃষি অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী জানান, ‘গত বছর এই সময় পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপন হয়ে গিয়েছিল। এই বছর এখনও পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। সময় রয়েছে তবে একটু পিছিয়ে গেল সবটাই। সব থেকে বেশি পিছিয়ে খড়্গপুর মহকুমা’।
জেলাজুড়ে শস্য বীমার প্রচারে ঘুরবে ট্যাবলো। মাইকিং, লিফলেট ও ব্যানারের মাধ্যমে জেলাজুড়ে খারিফ মরশুমে কৃষকদের স্বার্থে প্রচারের ট্যাবলোর উদ্বোধন হয়েছে জেলা শাসকের দফতর থেকে। ট্যাবলোর উদ্বোধন করেছেন জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদেরী। জেলা শাসক বলেন, ‘চাষিরা নিশ্চিন্তে চাষে নামুন। তাদের জন্য বাংলা শস্য বীমা খারিফ ২০২৩ চালু করা হয়েছে। এখানে কৃষকদের বীমার সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম দেবে সরকার। চাষিরা প্রয়োজনীয় নথি দ্রুত স্থানীয় অফিসে জমা করুন’।