আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার যে এক ধাক্কায় প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে যাবে, তার আঁচ মেলেনি কোনও সমীক্ষায়। জুলাই মাসে দেশে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছে গেল ৭.৪৪ শতাংশে। যা গত ১৫ মাসে সর্বাধিক। জুন মাসে দেশে খুচরো পণ্যে দাম বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৮১ শতাংশ। তার আগে মে মাসে ৪.৩১ শতাংশ।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.৭৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। সেই নজিরের কাছাকাছি পৌঁছে গেল ২০২৩-এর জুলাই। সাধারণ ভাবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির প্রায় অর্ধেক জুড়ে থাকে খাদ্যপণ্য। সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় ভোজ্য তেল এবং সব্জির দাম বেড়েছে। অভিযোগ, ক্রমশ তা সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। সব্জির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই (উপভোক্তা মূল্য সূচক) জুন মাসে জুন মাসে ৪.৮৭ শতাংশ হলেও জুলাইয়ে তা বেড়ে ৬.৭১ শতাংশে পৌঁছেছে।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিশেষত খাদ্যপণ্যের চড়তে থাকা দামে মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার চিন্তা বাড়ছিল গত জুন মাসের গোড়া থেকেই। জুলাই মাসে তা নতুন নজির তৈরি করেছে। বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে অর্থনীতিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগস্ট মাসে আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার। অর্থাৎ, আমজনতার সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। বস্তুত, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে ৪ শতাংশের মধ্যে বাঁধার যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল, চলতি অর্থবর্ষে তা পূরণ করা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।