অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে ২-১ এগিয়ে রয়েছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে উঠতে গেলে আমদাবাদে শেষ টেস্টে জিততেই হবে। ইনদওরে আগের ম্যাচে ঘূর্ণি উইকেটে হারতে হয়েছে। তা ছাড়াও একটি সমস্যা রয়েছে ভারতের। উইকেটকিপার কেএস ভরতকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছে দল। ব্যাট হাতে যেমন রান পাচ্ছেন না, তেমনই উইকেটকিপার হিসাবেও খুব আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি। চতুর্থ টেস্টের আগে রোহিত তাই বলেই দিলেন, ঋষভ পন্থের অভাব বোধ করছেন তাঁরা।
রোহিত বলেছেন, “সত্যিই পন্থকে খুব মিস্ করছি। বিশেষত এ ধরনের ঘূর্ণি পিচের ক্ষেত্রে। আমরা সবাই জানি পন্থ ব্যাট হাতে কী করতে পারে। তা ছাড়া উইকেটকিপিংয়েও গত দু’বছরে ও অনেক সাহায্য করেছে আমাদের। ঘূর্ণি উইকেটে ওর কিপিং বাকি সবার থেকে আলাদা।”
ম্যাচের আগে থেকেই জল্পনা ভাসছিল চতুর্থ টেস্টে ঈশান কিশনের খেলা নিয়ে। মঙ্গলবার ঈশানকে উইকেটকিপিং অনুশীলন করতে দেখা যায়নি। কিন্তু বুধবার তিনি অনুশীলন করেছেন। রোহিতকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় উইকেটকিপার বদল করা হচ্ছে কিনা। তিনি বলেছেন, “ভরত প্রচুর সময় কাটিয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে। রঞ্জি ট্রফি, ভারত এ, আঞ্চলিক ক্রিকেট খেলে অনেক রান করেছে। তাই এই উইকেটে মাত্র তিনটে ম্যাচে ভরতের কিপিং দেখে ওকে বিচার করা মুশকিল। সবাইকে যথেষ্ট ম্যাচ খেলতে দিতে হবে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
ম্যাচের আগে ভরতের সঙ্গে কী ধরনের কথা হয়, সেটাও খোলসা করেছেন রোহিত। বলেছেন, “সিরিজ়ের আগে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওকে বলেছিলাম, ‘কী ধরনের পিচে খেলা হতে চলেছে তা নিয়ে চিন্তা কোরো না। পিচ সহজ নয় ঠিকই। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ পাবে।’ আসলে এ ধরনের পিচে খেললে কিছু ম্যাচে হয়তো ব্যর্থ হতেই হবে। কিন্তু নতুন ছেলেদের পাশে দাঁড়ানোটা দরকার। ভরতের জন্যে ঠিক সেটাই করছি আমরা।”
রোহিতের আশ্বাস, একই ভাবে তাঁরা পাশে থাকবেন ঈশানেরও। বলেছেন, “ঈশানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও যখন দলে সুযোগ পাবে তখন ওর পাশেও আমরা থাকব। একটা-দুটো ম্যাচে ব্যর্থ হলে ওকে বসিয়ে দেব না। তা হলে সেটা অবিচার হবে।”