যুদ্ধবিরতির মাঝেই ফের হিজ়বুল্লার ঘাঁটিতে হামলা ইজ়রায়েলের, পর পর ছয় বিস্ফোরণে উত্তপ্ত লেবানন

যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বুধবারেই। দুই পক্ষ তাতে রাজিও হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই বদলে গেল চিত্র। লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আবার হামলা চালাল ইজ়রায়েল। পর পর ছ’টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে লেবাননে। হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে তারা। ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, হিজ়বুল্লাকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করতে দেখে তারা জবাব দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবাননের ছ’টি জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। ট্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই জায়গাগুলিতে গোলাবর্ষণ করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। হামলার কথা স্বীকার করে নিয়ে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) বক্তব্য, দক্ষিণ লেবাননে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকায় হিজ়বুল্লাদের গাড়ি ঘুরতে দেখা যায়। যুদ্ধবিরতির মাঝেই তারা হামলার পরিকল্পনা চালাচ্ছিল বলে দাবি ইজ়রায়েলি বাহিনীর। সেই কারণেই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ছ’টি জায়গাই ইজ়রায়েল এবং লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন। ইজ়রায়েলের হামলায় বৃহস্পতিবার দু’জনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ইজ়রায়েল এবং হিজ়বুল্লার সংঘর্ষের ঝাঁজ বেড়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। আমেরিকা এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। বুধবার থেকেই তা কার্যকর করা হয়। বলা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতির সময়ে দুই দেশ থেকে সাধারণ মানুষ নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালের হামলার পরেই ইজ়রায়েল তাদের নাগরিকদের লেবানন সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে লেবানন সীমান্তে যাঁরা ঘরছাড়া হয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর তাঁরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সীমান্তে এখনও ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনী পাহারায় রয়েছে। শোনা যাচ্ছে সাইরেনের শব্দও। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, লেবানন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিতে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারবে ইজ়রায়েল। তবে কোনও পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে আক্রমণ শানাতে পারবে না। এক দিনের মধ্যেই সেই চুক্তি লঙ্ঘিত হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.