যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় এ বার তৃতীয় বর্ষের তিন পড়ুয়াকে তলব করা হল। বুধবারই তাঁদের যাদবপুর থানায় তলব করা হয়েছে।
তৃতীয় বর্ষের তিন পড়ুয়ার পাশাপাশি মেস কমিটির চার সদস্য এবং মেন হস্টেলের ক্যান্টিনের কয়েক জনকেও তলব করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবারও লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল যাদবপুরের মেন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। দুর্ঘটনার রাতে বা তার আগে মেন হস্টেলে কী হয়েছিল বা হত তা নিয়ে এর আগেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলেছিলেন ওই রাঁধুনি। জানিয়েছিলেন, হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গত ৯ অগস্ট রাতের ঘটনা সম্পর্কেও বয়ান রেকর্ড করা হয়। তাতে র্যাগিংয়ের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্যান্টিনের কর্মচারী এবং কয়েক জন পড়ুয়াকে ডাকা হল।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান এক ছাত্র। তাঁর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা জানতে পেরেছে, হস্টেলের বারান্দায় সে দিন ওই ছাত্রটিকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছিল। তবে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে পুলিশ আরও নিশ্চিত হতে চায়। তার জন্যই প্রমাণ জোগাড় করার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে পুলিশ এ-ও জানতে চাইছে, যে ১৩ জনকে ইতিমধ্যে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তার বাইরে আরও কেউ হস্টেলে র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না।