লজ্জার মুখে ভারতীয় বোর্ড, বৃষ্টিতে আরও বিপাকে বিশ্বকাপের মাঠ, খেলার অবস্থায় কি আদৌ আছে?


ম্যাচের আগের দিন বৃষ্টি। তাতেই চিন্তার ভাঁজ হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট কর্তাদের কপালে। মঙ্গলবার ধর্মশালার মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হওয়ার কথা। কিন্তু সোমবার সেখানে বৃষ্টি হয়। তার ফলে মাঠের আউটফিল্ডের অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রথম ম্যাচ থেকেই এই মাঠের আউটফিল্ড প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।
ভারতীয় ক্রিকেট এই মুহূর্তে বিশ্বের বাকি বোর্ডগুলির মধ্যে সব চেয়ে ধনী। তারা প্রথম বার একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। কিন্তু আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমলের মাঠ ধর্মশালার অবস্থা নিয়ে লজ্জার মুখে বোর্ড। এই মাঠে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হয় ৭ অক্টোবর। সে দিন বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচেই দেখা গিয়েছিল আউটফিল্ডে ফিল্ডিং করতে গেলে ঘাস উঠে আসছে। ১০ অক্টোবর ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচের সময় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জস বাটলার। ইংরেজ অধিনায়ক দলের ফিল্ডারদের বুদ্ধি করে কাজ করতে বলেছিলেন। ক্রিকেটারদের চোট পাওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে মনে করেছিলেন তিনি।

সেই ধর্মশালায় তৃতীয় ম্যাচ মঙ্গলবার। যে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বৃষ্টির কারণে। সোমবার সেখানে বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবারও আকাশ মেঘলা। ফলে আউটফিল্ড শুকনো করা যায়নি। সুপারসপার কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু ম্যাচের আগে মাঠ কতটা শুকনো থাকবে সেই চিন্তা রয়েছে। যদিও হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা আশাবাদী ম্যাচ হওয়া নিয়ে। বোর্ড সচিব অবনীশ পার্মার বলেন, “আগামী ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি। সব রকম ব্যবস্থা করা আছে।” কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অবনীশ বলেন, “আমরা স্বাভাবিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে কাজ করছিলাম। কিন্তু এই বছর বৃষ্টিটা অনেক দিন ধরে চলছে। সেটাই মাঠের ক্ষতি করে দিয়েছে।”
ধর্মশালার মাঠে মত পাঁচটি খেলা আছে। এর মধ্যে দু’টি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচে। রবিবার চতুর্থ ম্যাচ। সেই ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড। গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচের দিকে চোখ থাকবে সকলের। কিন্তু মাঠ তৈরি না হলে কী হবে? খেলা সরিয়ে দেওয়া হবে? অবনীশ বলেন, “ম্যাচ সরানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। খেলা এখানেই হবে। বিশ্বকাপের সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।”

বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ডের অনেক জায়গা কাদা হয়ে গিয়েছে। অনুশীলন করার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটারেরা সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেন, “মাঠের কিছু জায়গায় কাদা রয়েছে। যদিও আমাদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে খেলার উত্তেজনার মাঝে হঠাৎ করে মাঠে ডাইভ দেওয়ার সময় কী হবে বলা যায় না। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।” নেদারল্যান্ডসের কোচ রিয়ান কুক আবার মজার ছলে বলেন, “আমরা যে ধরনের মাঠে খেলে অভ্যস্ত তার থেকে অনেক ভাল আউটফিল্ড এখানে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.