রাজ্যে পরপর শিশু মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি, আহত বহু কর্মী

অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে পরপর শিশু মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার বিজেপির মহিলা এবং যুব মোর্চা স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করে। কিন্তু সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে সল্টলেকে। শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধাক্কাধাক্কি হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।

বিজেপির অভিযোগ, ধ্বস্তাধস্তিতে জখম হয়েছেন বহু বিজেপি কর্মী। মাথাও ফেটেছে এক বিজেপি কর্মীর। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

কোলে প্রতিকী শিশু নিয়ে শুক্রবারের মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, রাজ্যে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দপ্তর উদাসীন। আইসিইউ’য়ের সঠিক পরিকাঠামো নেই। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকারের হাতে শুধু পুলিশ আছে সেই পুলিশকে দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।

বিজেপির অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগোতেই পুলিশ বাধা দিয়েছে। আটকও করা হয়েছে বহু বিজেপি কর্মীকে। পুলিশ অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খান সহ ২৭ জনকে আটক করে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিয়ে যায়। বিজেপির মিছিল ঠিক স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলে। সেই সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। মহিলা কর্মীদের ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পুলিশের বিরুদ্ধে। পুরুষ পুলিশ দ্বারা মহিলা বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তনুজা চক্রবর্তী। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের বাধার মুখে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো অগ্নিমিত্রা পাল তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিডের সময় কো-মর্বিডিটির কথা বলেছিলেন। এবার ওই সেই একই কথা বলছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। এই অবস্থায় কেন উনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?

ইন্দ্রনীল খাল বলেন, শত বাধা সত্ত্বেও আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছানোর পরেও জনস্বার্থ বিষয়ক ডেপুটেশন পর্যন্ত দিতে দিলো না দলদাস পুলিশ। রাজ্যে শিশুদের সুস্বাস্থ্যের দাবিতে রাজপথে নামার জন্য আমাদের ১০০-রও বেশি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করল জোর করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর উদাসীনতার প্রতিবাদে এই আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.