আবারও হাতির দলের হামলা জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন মহারাজ ঘাট এলাকায়। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত। লঙ্কা, ঝিঙে, করলা ক্ষেতে হামলা চালায় হাতির দল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লক্ষ লক্ষ টাকা।
কয়েকদিন ধরে মহারাজ ঘাট এলাকায় একদল হাতি তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছিল। বুধবার রাতভর প্রায় ২৫টি হাতির দল আক্রমণ করে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। দিন কয়েক আগে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল মহারাজ ঘাটের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। এরপর থেকে দিন কয়েক ওই এলাকায় বনদফতর নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। এখন নজরদারির খামতি হতেই আবারও হাতির দলের আক্রমণ বস্তি এলাকা সহ কৃষিজমিতে। মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাবা বিষ্ণু দাস ঋণ নিয়ে ঝিঙে চাষ করেছিলেন। ঝিঙের জমির ঝিঙে হাতির আক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। বার বার হাতির আক্রমণে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। বনদফতরকে জানানোর পরেও গ্রামে নজরদারি বাড়ানোর জন্য টং ঘর, পর্যাপ্ত আলো ও পটকার ব্যবস্থা করছে না বলে দাবি।
মহেশঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অনন্ত রায় বলেন, “হাতির দল আক্রমণ করেছে। আমাদের সংসার চলে কৃষিকাজ করে। লঙ্কা, করলা ও ঝিঙের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার প্রায় চার বিঘা কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে। ২৫-২৬টি হাতি দল বেঁধে এসেছিল। বনদফতর আসেনি।”
মৃত ম্যাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবা বিষ্ণু দাস বলেন, “৮০ হাজার টাকা খরচ করে ঝিঙে চাষ করেছিলাম। সব নষ্ট হয়ে গেল। কি করবো এখন বুঝতে পাচ্ছি না।” আরও এক কৃষক বিজয় রায় বলেন,”অনেক হাতি এসেছিল। সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। টং ঘর নেই, লাইট নেই, পটকা নেই।” এলাকায় বনদফতর আসার আগেই হাতির দল জঙ্গলে ফিরে যায়।