পুজোর মুখে প্রকাশ্যে গুলি করে টাকা ভর্তি ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার কুমড়ো কাশিপুর এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম স্বপন সাহা। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বপনবাবু কাটা কাপড়ের ব্যবসা করেন। এদিন ব্যবসার টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে হাবড়ায় বাড়়ি ফিরছিলেন। দূর থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করছিল। রাস্তা নির্জন হতেই আচমকা টাকার ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যবসায়ীর পথ আটকায় চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী। তারা প্রথমে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যবসায়ী তাতে বাধা দেন। বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পায়ের নিচে গুলি লাগে ওই ব্যবসায়ীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। গুলির আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতেই দুষ্কৃতীরা ছুটে পালায়। আহত স্বপনবাবুর ভ্যান চালক অজিত সাহা বলেব, প্রথমে দুটি বাইক ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে ভ্যান আটকায়। এরপর মালিকের ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করে। সকলের হাতেই বন্দুক ছিল। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তারা। ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার পর মালিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, স্বপনবাবু ভ্যানের উপর শুয়ে পড়লে গুলিটি বাঁদিকের পায়ে লাগে। তড়িঘড়ি তাকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বিষয়টি জানার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এমনিতেই পুজোর সময় রাস্তায় ঠাকুর দেখতে অনেকে বেড়িয়েছেন। ফলে, রাস্তায় ভিড়ও ছিল। এরমধ্যেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে পুলিশি টহল চলছে। নাকা চেকিংও চলছে জোরকদমে। এরপরই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় আমরা হতবাক। কারণ, প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় সকলেই আতঙ্কে রয়েছি।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কে বা কারা এই গুলি চালিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা দরকার। বাইরের কোনও গ্যাং রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা হচ্ছে।