উদ্বোধনের পর ১০ দিনে ২৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম রামমন্দিরে! কত কোটি জমা পড়ল দানপাত্রে ?

গত ২২ জানুয়ারি মহা ধুমধাম করে উদ্বোধন করা হয়েছিল অযোধ্যার ‘বহু প্রতীক্ষিত’ রামমন্দিরের। প্রথম দিন শুধু নিমন্ত্রিতরাই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পর দিন থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল মন্দিরের দরজা। তারপর থেকেই সেখানে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। অবস্থা এমন হয় যে ২৩ তারিখ ভিড়ের চাপে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে হয় মন্দির। তার পর অবশ্য তা আবার খুলে দেওয়া হয়। ২২ তারিখ রামলালার অভিষেকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ লক্ষ রামভক্ত মন্দির পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আর রামলালার পাওয়া দানের টাকার অঙ্ক শুনলেও চোখ কপালে উঠবে। ১১ দিনে চেক, অনলাইন এবং দানবাক্স মিলিয়ে রামলালার পাওনা হয়েছে মোট ১১ কোটি টাকারও বেশি!

মন্দির ট্রাস্টের অফিস ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্ত জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহে যেখানে রামের মূর্তি রয়েছে, তার সামনে ‘দর্শন পথ’-এর কাছে চারটি বড় আকারের দানবাক্স রাখা হয়েছে, যাতে ভক্তরা দান করেন। এ ছাড়া রয়েছে ১০ টি কম্পিউটারাইজড কাউন্টার, যেখানে অনুদান দেওয়া যায়। ডোনেশন কাউন্টারে মন্দির ট্রাস্টের নিযুত্ত কর্মচারীরা রয়েছেন, যাঁরা প্রতি দিন সন্ধ্যায় কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ট্রাস্ট অফিসে প্রাপ্ত অনুদানের হিসাব জমা দেন।

১৪ জন কর্মীর একটি দল রয়েছে রামমন্দিরে। এঁদের মধ্যে ১১ জন ব্যাঙ্কের কর্মচারী এবং বাকি তিন জন মন্দির ট্রাস্টের কর্মী। তাঁরা সকলে মিলে চারটি দানবাক্স এবং কম্পিউটারাইজড কাউন্টারে জমা পড়া ‘দান’ গণনা করেন৷ প্রকাশ জানান, অনুদানের টাকা জমা করা থেকে গণনা করা, সব কিছুই সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে হয়।

সরাসরি মন্দিরে দান করা ছাড়াও অনলাইন এবং চেক মারফতও জমা পড়ে দানের টাকা। এই দুই পদ্ধতিতে এখনও পর্যন্ত জমা পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। দানবাক্স এবং কাউন্টার মিলিয়ে জমা পড়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি ছুঁয়েছে। অর্থাৎ ১১ দিনে বালক রামের জন্য ভক্তদের দেওয়া অনুদানের পরিমাণ ১১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে ভক্তের সংখ্যা এবং দানের অঙ্কে রামমন্দির ‘রেকর্ড’ করবে বলে আশাবাদী ট্রাস্টের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.