প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে লাহোরে তার বাড়িতে হানা দিল ইসলামাবাদ পুলিস ও পঞ্জাব পুলিস। তোসাখানা মামালায় গতকালই ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কারণ শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেননি ইমরান। তাই পুলিসের অভিযান। ওই খবর পাওয়ার পরই পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির কর্মীরা লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে জমায়েত হতে শুরু করেছে। এনিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে পাকিস্তানে।
পুলিসের ওই হানার পর এনিয়ে সবর হয়েছেন পিটিআই-র মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ইমরান খানকে গ্রেফতার করার এই চেষ্টার পরিণাম ভয়ংকর হবে। এই অপদার্থ সরকারকে বলতে চাই দেশকে আর খারাপ অবস্থার মধ্যে ফেলবেন না। পিটিআই কর্মীদের এখনই জামান পার্কে ইমরান খানের বাড়িতে যাওয়া উচিত।
কী অভিযোগ ইমরান খানের বিরুদ্ধে? দেশের প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য শীর্ষ মন্ত্রীরা দেশ-বিদেশ থেকে যে উপহার পেয়ে থাকেন তা জামা থাকে সরতকারি কোষাগার তোসাখানায়। সেখান সেখান থেকে গ্রাফ কোম্পানির একটি দামী ঘড়ি ইমরান কিনেছিলেন কম দামে। তারপর সেই ঘড়িটি তিনি বিক্রি করে দেন।
ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন ইমরান খান। একের পর এক সভা করে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা রাখার েচষ্টা করছেন। কয়েক মাস এক এক জনসভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও করা হয়। গুলি লাগে তার পায়ে। গত মাসে পিটিআই এর তরফে আয়োজন করা হয় জেল ভরো অভিযান। ওই অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য ৬০০ পিটিআই সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ওই ৬০০ জনের মধ্যে দলের অনেক নেতাও রয়েছেন। আদালতের নির্দেশে তাদের অনেকে মুক্তিও পেয়েছেন।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন তলানিতে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। তাও সরবারহ নেই। দেশে চালানোর জন্য এখন আইএমএফের দাকি তাকিয়ে রয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। এরকম এক অবস্থায় ইমরান খানের দল সরকারকে বিব্রত করতে ছাড়ছে না। পিটিআইয়ের এক নেতার দাবি, পঞ্জাব ও খাইবার পাকতুখাওয়া প্রদেশে ভোট করাচ্ছে না। তা করানোর জন্যই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পিটিআই।