মহিলা সেনা আধিকারিককে স্থায়ী কমিশনের সুবিধা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৫ মার্চ যোগ্য প্রার্থীদের এই কমিশন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই রায় বাস্তবায়ন করতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা চেয়েছিল কেন্দ্র। এর জবাবে এবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলল, ব্যাখ্যা না চেয়ে নারীদের স্থায়ী কমিশন দেওয়ার রায় বাস্তবায়ন করুন। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে আরও বলে, কোনও ব্যাখ্যা লাগলে আর্মড ফোর্স ট্রাইবুনালের কাছে যান।
সুপ্রিম কোর্টে ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘বিবিধ আবেদন শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত। আমাদেরও ক্ষমতার একটা সীমা আছে। আমরা মানুষ। আমরা ব্যক্তিগত ভাবে এক একজন অফিসারের আবেদন নিয়ে কী করে শুনানি চালাব।’ এর আগে ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল যে ৬০ শতাংশ মার্কস পাওয়া সব নারীকে স্থায়ী ভাবে শর্ট সার্ভিস কমিশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ করতে হবে।
এর আগে মার্চে তিন মাসের মধ্যে সমস্ত মহিলা সেনা আধিকারিককে স্থায়ী কমিশনের সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেনাবাহিনীতে মহিলা ও পুরুষের সমানাধিকার রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, মহিলাদের প্রতি মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন। এই সংক্রান্ত মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট আগেই মহিলা সেনা আধিকারিকদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র।
তবে সেনার তরফে বলা হয়, স্থায়ী কমিশনের আবেদন জানানো ৫২৯ জনের মধ্যে ৫১৪ জন্য ৬০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেন। তবে ১৯৮৩ এবং ২০১২ সালের দুই নীতি অনুযায়ী ৭২ জন স্থায়ী কমিশন পাওয়ার যোগ্য নন। এর প্রেক্ষিতেই সরকার জানতে চায় যে সেনার নীতি না মিললেও কি নারীদের স্থায়ী কমিশন দিতে হবে? এর প্রেক্ষিতে আর্মড ফোর্স ট্রাইবুনালের কাছে যেতে বলা হয় সরকারকে।