বুধবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা অক্ষয় কুমারের মা অরুণা ভাটিয়া। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। টুইটে মৃত্যুর কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও, নিজেই টুইটারে মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন অক্ষয়। প্রসঙ্গত, বুধবার জনপ্রিয় পরিচালক আনন্দ এল রাইয়ের মা-ও প্রয়াত হয়েছেন।মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আনন্দ এল রাইয়ের মায়ের শেষযাত্রায় হাজির হতে দেখা যায় ‘খিলাড়ি’-কে।
তবে অক্ষয়ের সঙ্গে সেখানে আর কেউ ছিলেন না। একাই হাজির হয়েছিলেন তিনি। সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে কালো জিনস এবং মুখে মাস্ক পরা অক্ষয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্য পালন করে সেই একই দিনে সহকর্মীর মায়ের শেষযাত্রায় যোগ, বলি-তারকার এই দায়িত্ববোধ দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে আনন্দ এল রাইয়ের পরিচালনায় ‘অতরঙ্গি রে’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন অক্ষয়। সে ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে সারা আলি খান এবং ধনুষকে। এছাড়াও আনন্দের নির্দেশনায় ‘রক্ষা বন্ধন’ ছবির শুটিংয়ে আর কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা ‘খিলাড়ি’-র।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুম্বইয়ের হিরানন্দানি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অক্ষয় কুমারের মা অরুণা ভাটিয়া। মায়ের অসুস্থতার খবর জানতে পেরেই সোমবার লন্ডন থেকে শ্যুটিং ছেড়ে তড়িঘড়ি মুম্বই ফেরেন অভিনেতা। সপ্তাহ দুয়েক ধরে লন্ডন সহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় ‘সিন্ডেরেলা’-ছবির শ্যুটিং করছিলেন তিনি।
তাই মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ছেলে যে স্বাভাবিকভাবে সবকিছু ছেড়ে ফিরে আসেন। মায়ের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল অক্ষয়ের। যাকে বলে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দীর্ঘ বছর ধরে লাইমলাইটে থাকা সত্ত্বেও আদ্যপান্ত একজন খাঁটি ‘ফ্যামিলি ম্যান’ তিনি। মায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেতা এবং তাঁর পরিবার। শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতার বন্ধু, সহকর্মী এবং অনুরাগীরা।
বুধবার মায়ের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন তিনি।টুইটারে নিজের কষ্টের কথা ব্যক্ত করে অক্ষয় লেখেন, ‘আমার অস্তিত্বের মূল অংশ ছিলেন তিনি। তাঁকে হারিয়ে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করছি। আমার মা শ্রীমতি অরুণা ভাটিয়া শান্তিপূর্ণভাবে আজ সকালে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন এবং পরপারে আমার বাবার সঙ্গে ফের একবার মিলিত হয়েছেন। এইমুহূর্তে আমি এবং আমার পরিবার কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের সবার প্রার্থনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ওম শান্তি’।