ফাইজান-মৃত্যুর জট কাটতে না কাটতেই আইআইটি খড়্গপুরের আরও এক মেধাবী ছাত্রীর রহস্য-মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো সোমবার সাত সকালে।
মৃত ছাত্রীর নাম দেবীকা পিল্লাই। আইআইটি খড়্গপুরের বায়োটেকনোলজি ও বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি কেরলের ছেপড় থানার উত্তর এভুর এলাকায়। সোমবার সকালে আইআইটি খড়্গপুরের সরোজিনী নাইডু হল ও ইন্দিরা গান্ধী হলের পড়ুয়ারা দেখেন, দুই হলের মাঝামাঝি ফাঁকা জায়গায় ছাদ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন ওই ছাত্রী। এরপরই, পড়ুয়ারা খবর দেন আইআইটি কর্তৃপক্ষকে। কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আইআইটি চত্বরে।
জানাগেছে, দিন কয়েক আগেই বাড়ি থেকে ফিরেছিল বিটেক ফোর্থ ইয়ারের ওই ছাত্রী। ২০২১ সালে আইআইটি’র এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস করে বছর ২১-র মেধাবী ওই ছাত্রী আইআইটি খড়্গপুরে ভর্তি হয়েছিলেন। ঠিক কি কারণে এই ঘটনা, তা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে ইতিমধ্যে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। যদিও, পুলিশের তরফে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হোস্টেলের একটি রুম থেকে অসমের গুয়াহাটির তিনশুকিয়ার বাসিন্দা তথা আইআইটি খড়্গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের পচাগলা মৃতদে উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশের পর উঠে আসে নৃশংস ভাবে খুনের তত্ত্ব। আর তার মধ্যেই ফের এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো দেশের প্রাচীনতম প্রযুক্তি বিদ্যার পীঠস্থান আইআইটি খড়্গপুরে।