পাকিস্তান ছেড়ে প্রেমিকের টানে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পাক গৃহবধূর সীমা হায়দার। কিন্তু ধরা পড়ে জেলে যেতে হয় তাকে। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর কোনভাবেই পাকিস্তানে ফিরতে চান না। কারণ সেখানে ফিরলে তাকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হবে। ভারতীয় প্রেমিককে বিয়ে করে তিনি ভারতেই থেকে যেতে চান। মহিলা দাবি করেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই ভারতীয় হয়ে উঠেছেন। আন্তরিকভাবে হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে তিনি গ্রহণ করেছেন।
সীমা জানিয়েছেন, তিনি প্রেমিকের সঙ্গে ভারতে নতুন করে সংসার করতে চান। ২০১৯ সালে পাকিস্তান থেকে পাবজি খেলার সূত্রে নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিং’য়ের সঙ্গে আলাপ। ক্রমেই উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। স্বামী প্রায়শই থাকতেন না। থাকলেও সীমার উপর অত্যাচার করত। সেই একাকীত্ব থেকেই এই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান তিনি। শেষে পরিকল্পনা করে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা চার সন্তানকে নিয়ে।
বেশ কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার পর গত চার জুলাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তার হয় শচীনও। এমনকি সীমাকে থাকতে দেওয়ার কারণে শচীনের বাবাও গ্রেফতার হন। সীমার সন্তানেরা তার সঙ্গে জেল হেফাজতেই ছিল। তবে শুক্রবার তাদের জামিন হয়েছে।
জামিনে মুক্তির পর সংবাদ মাধ্যমকে সীমা জানিয়েছেন, তিনি এখন প্রতিদিন ঈশ্বরের পূজা করেন এবং হাতজোড় করে সকলকে নমস্কার করেন, বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। তিনি দাবি করেছেন, তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং শচীনের পরিবারের মতোই নিরামিষ খাবার খাওয়া শুরু করেছেন। সীমা জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানে ফিরতে চান না। কারণ পাকিস্তানে ফিরলেই তাকে খুন করা হবে। পাথর ছুড়ে মারা হবে তাকে। তবে তার সন্তানরা যদি চান তাহলে পাকিস্তানে তারা ফিরতে পারে বলেও জানিয়েছেন সীমা।
গোলাম হায়দারের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয়েছিল সীমার। গোলাম তার ওপর প্রায়ই অত্যাচার চালাত। সীমার দাবি, তার সন্তানরা শচীনকে ভালোবাসেন।শচীনকে বাবা হিসেবে মেনে নিয়েছে তারা।
অন্যদিকে গোলাম ভিডিওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।