লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নামে এবার অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ে। প্রকল্পের বিশেষ স্কিমে ১৬,০০০ টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করে দেওয়া হল ৮,০০০ টাকা।
ঘটনার জেরে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রতারিত গৃহবধূর অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামে তাঁকে ফোন করে প্রতারণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাঠালিয়া গ্রামে। ওই এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূর সাবেরা বিবির অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম করে সম্প্রতি তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে অপরিচিত এক যুবক সরকারি প্রতিনিধি দাবি করে। ওই যুবক তাঁকে জানায়, মহিলার নাম লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রকল্পে জমা পড়েছে। সে কারণে একটি বিশেষ স্কিম চলছে।
ওই স্কিমের বিষয় বলতে গিয়ে ওই যুবক আরও জানায়, বধূকে এককালীন ১৬,০০০ টাকা দেওয়া হবে। তবে একটি শর্তও দেয় ওই যুবক। বলে, এর জন্য প্রথমে তাঁকে স্থানীয় রিচার্জের দোকানে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে কিছু টাকা পাঠাতে হবে। তবে দোকানদার কীভাবে অপরিচিত নম্বরে টাকা পাঠাতে রাজি হবেন? সেক্ষেত্রে স্কিমের টাকা কীভাবে পাওয়া যাবে, তারও উপায় বাতলে দেয় ওই যুবক। সাবেরার দাবি, তাঁকে ওই যুবক বলে যে রিচার্জের দোকানে গিয়ে বলতে হবে, ছেলে বাইরে থাকে। টাকার দরকার। সেজন্য ছেলেকে ৮,০০০ টাকা পাঠাতে হবে।
সাবেরা বলেন, ‘সেই অনুযায়ী আমি রিচার্জের দোকানে গিয়ে বললে, দোকানদার কোনও প্রশ্ন না করেই অনলাইনে সেই টাকা পাঠিয়ে দেন। তারপর তিনি আমার কাছে পাল্টা ওই ৮,০০০ টাকা চান। তখন আমি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬,০০০ টাকা ঢোকার কথা বললে, তিনি জানান ওই অঙ্কের কোনও টাকাই ঢোকেনি। তখনই আমি বুঝতে পারি যে, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি কাশীপুর থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাই।’