বিধায়করা যদি লাইন দিয়ে জেলে যান, তাহলে সরকার টিকবে কীভাবে, প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

রাজ্যে শাসক দলের একের পর এক বিধায়ক গ্রেফতার হচ্ছেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর মানিক ভট্টাচার্য। আর এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের (CBI) জালে তৃণমূলের আরেক বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এই নিয়ে বিরোধীরা নাগাড়ে খোঁচা দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলকে। এদিন খড়্গপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)।

তিনি বললেন, ‘দিদি জানেন এই বিধায়ক সাংসদদের যতদিন কামানোর সুযোগ আছে, ততদিন এরা সঙ্গে থাকবে। যেদিন একটু এদিক-ওদিক হবে, সেদিনই ভেগে যাবে।’

কিছুদিন আগেই বঙ্গ বিজেপির জন্য টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। লোকসভায় বাংলা থেকে জিততে হবে ৩৫ আসন। আর এই টার্গেট পূরণ হলে ২০২৫ সালের আগেই তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে বলে সিউড়ির সভা থেকে আশ্বাস দিয়েছেন শাহ। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, শাহি আশ্বাস পূরণের জোর সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, তাঁর ব্যাখ্যা, ‘গত লোকসভায় ১৮টি আসন পেতেই (শাসক দলের) ভিত নড়ে গিয়েছিল। দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। একুশের ভোটের আগে ডজন ডজন নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ ছুটে ছুটে বিজেপিতে আসছিলেন।’

তাহলে কি একইসঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে বাংলায়? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য সরাসরি এই বিষয়ে কোনও উত্তর করেননি তিনি। আবার এমন সম্ভাবনার কথা পুরোপুরি উড়িয়েও দিচ্ছেন না দিলীপবাবু। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘ভবিষ্যতে কী হবে তা দেখা যাবে। কিন্তু সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যদি লাইন দিয়ে বিধায়করা জেলে যান, তাহলে সরকার টিকবে কীভাবে?’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন।’ কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.