“লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার যদি অনৈতিক হয় তাহলে সমস্ত সাংসদের বাড়ির দরজার সামনে রেট চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া উচিত।” তৃণমূল সাংসদের বহিষ্কার নিয়ে বিরোধীদের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, মহুয়া মৈত্র দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করেছেন, তাই তার আরও কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার অনৈতিক হয়ে থাকলে দেশের সমস্ত সাংসদের বাড়ির দরজায় রেট চার্ট বানিয়ে টাঙিয়ে দেওয়া উচিত। সুকান্ত মজুমদার কে দিয়ে প্রশ্ন করাতে হলে, প্রশ্ন প্রতি ১০ হাজার, সৌগত রায় যেহেতু অনেক দিনের সাংসদ তাই তার ১৫ হাজার। মহুয়া মৈত্র যখন দেশে ছিলেন তখন তার আইডি দিয়ে বিদেশ থেকে লগইন হয়েছে। উনি নিজে স্বীকার করেছেন যে উপহারের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন। ওনাকে এথিক্স কমিটির সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উনি নিজ সমর্থনে বক্তব্যও রেখেছেন। তারপর ওনাকে প্রশ্ন করা হলে উনি পালিয়ে গিয়েছেন। এখন উনি দাবি করছেন সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সংসদে রুল বুক অনুসারে কাজ হয়। মহুয়া মৈত্রের ইচ্ছায় লোকসভা চলে না। লোকসভার রুল বুকে এরকম কোনো অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।”
তিনি বলেন, এর আগে যখন ১০ জন সাংসদের বিরুদ্ধে একই ভাবে অভিযোগ উঠেছিল। তার মধ্যে ৬ জন বিজেপির সাংসদ ছিলেন। তাদেরও বলতে দেওয়া হয়নি। তখন কংগ্রেসের সরকার ছিল। বিরোধী দলনেতা ছিলেন লাল কৃষ্ণ আদবাণী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “আমরা কোনভাবেই এই দুর্নীতিকে সমর্থন করি না। তখন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় আদবানিজীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।”
টাকার বিনিময় প্রশ্ন করার করায় শুক্রবার লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২ ঘন্টা আলোচনার পর ধ্বনি ভোটে পাস হয় কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকারের পেশ করা প্রস্তাব। যদিও তার আগেই লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করে গিয়েছিলেন তৃণমূল সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।