নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। রীতিমতো পুকুর মন্থন করে সেই ফোন উদ্ধার করেছে সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পাশের সেই পুকুর পরিদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য বেরিয়ে এলে তৃণমূল দলটাই আর থাকবে না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনো জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনো স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না। অথচ এখানে যেতে পুলিশ তার কাছে অনুমতি পত্র চাইছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বহরমপুর থেকে সড়কপথে সুকান্ত মজুমদার আসেন। তাকে প্রথমে আন্দি কালিবাড়ির সামনে আটকায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। এরপর কনভয় নিয়ে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির সামনের যে পুকুরে মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক, সেখানে পুকুর পরিদর্শনে গেলে বাগানের মধ্যে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পুলিশ তার কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দাবি করেছে। সাধারণ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। শেষ পর্যন্ত পুকুর পাড় পর্যন্ত যাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদেরকে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। এই প্রথম আমরা দেখলাম পশ্চিমবঙ্গে কেউ পুকুর পাড়ে যাবে তার জন্য এনওসি দরকার। এরপরে আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫ টাকা জমা দিতে হবে।”
তৃণমূল বিধায়কের ফোন উদ্ধারের ঘটনায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জীবন কৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর ভয়ে পুরো রাজ্য প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি না হয় ভাইপো কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন প্রতিদিন। সেই ভয়ের কাপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। জীবনকৃষ্ণের নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরাটা এখানেই লুকিয়ে আছে।” সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “এমন কিছু আছে মোবাইলে যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।”
একই সঙ্গে একজন সাংসদকে কোথাও যাওয়ার জন্য বিনা কারণে পুলিশ বাধা দিতে পারে না বলেও দাবি বালুরঘাটের সাংসদের। তিনি বলেন, “১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনো জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনো স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।”