লাদাখ থিয়েটারে চিনা সেনা থাকলে ভারতীয় সেনাও থাকবে। ভারত এবং চিনের ১৩ তম সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের আগেই এমনই বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মুকুল মুকুন্দ নারাভানে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন শীতেও যদি চিনা সেনা মোতায়েন থাকে, তাহলে প্রকৃতরেখার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। যদিও পাকিস্তান রেখার মতো সক্রিয় হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে আগামিকাল (রবিবার) চিনের মলডোয় ১৩ তম সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে। সূত্রের খবর, হটস্প্রিংয়ে ভারতীয় এবং চিনা সেনা সরানো নিয়ে আলোচনায় বাড়তি জোর দেওয়া হবে। সেই বৈঠকের আগে ভারতীয় সেনাপ্রধান জানান, এটা উদ্বেগের বিষয় যে গত বছর সীমান্ত সমস্যার সময় বৃহদাকারে যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল, তা এখনও রয়ে গিয়েছে। সেই সেনাদের সেখানে রাখার জন্য চিনের তরফে বৃহদাকারে উন্নয়নমূলক কাজকর্মও হয়েছে। ইন্ডিয়া টু’ডে কনক্লেভে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এটার অর্থ হল যে ওরা (পিপলস লিবারেশন আর্মি) ওখানে থাকতে এসেছে। পুরো বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি। ওরা যদি সেখানে থাকতে চায়, তাহলেও আমরাও সেখানে থাকব।’ সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে যোগ করেছেন, চিনের পালটা পদক্ষেপ করেছে ভারত। চিনের মতোই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এমনিতে গত বছর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাদাখ সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। দীর্ঘ কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনার ভিত্তিতে চলতি বছর দু’বার সীমান্ত লাগোয়া সংঘাতের জায়গা থেকে দু’দেশের সেনা পিছু হটে গিয়েছে। তারপরও লাদাখ থিয়েটারে দু’পক্ষের কমপক্ষে ৫০,০০০-৬০,০০০ জওয়ান মোতায়েন আছেন। সবমিলিয়ে দু’পক্ষের জওয়ানের সংখ্যা প্রায় এক লাখ হবে।
সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘ওরা (চিনা সেনা) যদি দ্বিতীয় শীতেও থেকে যায়, তাহলে তার অর্থ নিশ্চয়ই এটা হবে যে আমরা প্রকৃতরেখার মতো (ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সেনা মোতায়েন) অবস্থায় থাকব। তবে পশ্চিম সেক্টরের প্রকৃতরেখার মতো তা সক্রিয় হবে না। আমাদের চিনা সেনা মোতায়েনের উপর নজর রাখতে হবে, যাতে ওরা আবার অপকর্মে লিপ্ত না হয় (ভারতের সীমান্ত টপকানোর চেষ্টা না করে)।’